বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ নিয়ে যা বললেন সুলতান মনসুর
বঙ্গবন্ধুর ৭মার্চের ভাষণ একটি জাতি-জনগোষ্ঠীর মুক্তির কালজয়ী জাতীয় ঐক্য সৃষ্টির এক মহাকাব্য,যা কেবল বাঙালির জন্যই নয়, বিশ্বমানবতার জন্যও
অবিস্মরণীয়, অনুকরণীয় এক অতুলনীয় দিকনির্দেশনা ও চুড়ান্ত প্রকাশ্য প্রস্তুতির ঘোষণা বলে মনে করেন ডাকসুর সাবেক ভিপি ও বাংলাদেশ আওয়ামী
সম্পর্কিত খবর
এই ফেইসবুক স্ট্যাটাসে তিনি এ মন্তব্য করেছেন। সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদের ফেইসবুক স্ট্যাটাসটি সময়ের সাথের পাঠকের জন্য হুবুহু তুলে ধরা হলো- বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ একটি জাতি-জনগোষ্ঠীর মুক্তির কালজয়ী জাতীয় ঐক্য সৃষ্টির এক মহাকাব্য,যা কেবল বাঙালির জন্যই নয়, বিশ্বমানবতার জন্যও অবিস্মরণীয়, অনুকরণীয় এক অতুলনীয় দিকনির্দেশনা ও চুড়ান্ত প্রকাশ্য প্রস্তুতির ঘোষণা। সেদিনকার বাস্তবতায় সাড়ে সাত কোটি বাঙালীর আকাঙ্ক্ষাই প্রতিধ্বনিত হয়েছিল সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালীর কন্ঠে।কাজেই কোনো বিশেষ ব্যক্তি, গুষ্ঠি বা দলের নয় মুক্তিকামী প্রতিটি বাঙালীর অর্থাৎ সামগ্রীক জাতীয় ঐক্যের প্রতীক ছিল ৭মার্চ।কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য বর্তমান অনির্বাচিত, মহা লুটপাটের সরকারের দুই একজন ছাড়া বেশির ভাগেরই ৭মার্চের সময় কোনো ভূমিকাই ছিলনা।
ঐতিহাসিক ৭মার্চের পুর্বে যাদের সাথে বঙ্গবন্ধু পরামর্শ করেছিলেন তাদের মধ্যে এখনো ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে বেচে থাকা সংবিধান প্রণেতা ও জাতীয় নেতা ডঃ কামাল হুসেন, ব্যারিষ্টার আমিরুল ইসলাম, সিরাজুল আলম খান, তোফায়েল আহমেদ, নুরে আলম সিদ্দিকী, আসম আব্দুর রব, শাহজাহান সিরাজ, বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত নিরাপত্তাকর্মী মহীউদ্দিন আহমেদ, কামরুল আনাম খান খসরু, মোস্তফা মহসীন মন্টু প্রমুখ নেতাদের যথাযথ মুল্যায়ন এখন সময়ের দাবী।
আজকে যখন জাতিরজনক বঙ্গবন্ধুর ৭মার্চের ভাষণ জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্য দলিল’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে, তখন মনে প্রশ্ন আসে, যে নীতি আদর্শের আওয়ামীলীগ কে নিয়ে বঙ্গবন্ধু মুক্তিসংগ্রামের ধারায় স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্টা করে গেছেন, আজকের আওয়ামীলীগ কি সেই আওয়ামীলীগ?নিশ্চয় এই আওয়ামীলীগ সেই আওয়ামীলীগ নয়।
আর সেজন্যই রাজনীতির মুকুট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ীত্বের হাতীয়ার হিসেবে ব্যবহার করে যারা ব্যক্তি ও গুষ্টি স্বার্থ বাস্তবায়নে ষড়যন্ত্র করছে তাদের পতন আর ৭ ই মার্চের চেতনায় জাতীয় ঐক্য সৃষ্টির মধ্য দিয়ে একটি অবাধ,সুষ্টু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনই হোক আজকের দিনের শপথ।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, জয় হউক বাংলার জনগনের।