‘টাকা থাকলেই পাইলট হওয়া যায় না, সাহস আর মাথায় ঘিলু থাকতে হয়’
সিভিল পেশাগুলোর মধ্যে পাইলট অর্থাৎ বৈমানিক একমাত্র পেশা যেটাতে GENDER দিয়ে classified করা হয় না। যার কারণে এ পেশার ইউনিফর্ম পুরুষ/মহিলা সবার জন্য একই, তার জন্য টাই-টিও বাদ যায় না। কারণ GENDER নয়, দক্ষতা, বুদ্ধিমত্তা ও সাহস এ পেশার মূল চাবিকাঠি।
সব পাইলটই ট্রেইনিং প্রসেস পাস করেই পাইলট হয়। নারীদের জন্য কিন্তু আলাদা ট্রেইনিং নেই যে নারী পাইলটকে আলাদা করে ভাগ করে দেখতে হবে। লাখ লাখ টাকা থাকলেও কেউ পাইলট হয়ে যেতে পারে না, যদি তার মধ্যে সাহস আর মাথার মধ্যে ঘিলু না থাকে।
সম্পর্কিত খবর
চার হাজার ফুট উপরে ওঠে যখন ফ্লাইট প্রশিক্ষক বিমানের ইঞ্জিন হঠাৎ করেই বন্ধ করে দিয়ে বলে , 'নাও এখন নিরাপদে ফ্লাই করে ল্যান্ড কর।' তখন কিন্তু দেখে না যে ট্রেইনি পাইলট কি সে ছেলে না মেয়ে। সব কিছু শিখার পর বা ট্রেইনড হওয়ার পর যখন অফিসিয়ালি লাইসেন্স নেয়ার জন্য ফ্লাইট টেস্ট এ সেই ট্রেইনি পাইলট যায়, Examiner ওই একই কাজ করেন, তখনো তিনি দেখেন না টেস্টের পাইলটটি নারী নাকি পুরুষ। একজন Examiner আসেন বাইরে থেকো অর্থাৎ লোকাল Aviation Authority থেকে, ফ্লাইট স্কুলের তিনি কেউ নন।
শখ থেকে কেউ বৈমানিক পেশা বেছে নেয় না বা চাইলেও পারে না, স্বপ্নবাজ সাহসীরাই বৈমানিক হয় এবং হতে পারে। আমি নিজ চোখে বহু পুরুষ মানুষকে দেখেছি কয়েক ঘণ্টা ট্রেইন করার পর, ভয়ে ছেড়ে চলে যেতে। সুতরাং, এই পেশায় নারী/ পুরুষ এর বিভক্ত করার চেষ্টা করবেন না। এটি কোন কুস্তি বা শারীরিক শক্তি দেখানোর পেশা নয়, বুদ্ধিমত্তার পেশা, দক্ষতার পেশা, সাহসী পেশা।
লেখক : বৈমানিক, মডেল, মিস আয়ারল্যান্ড