• মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

‘ভাবি এখনও জানেন না প্রিয়ক ভাই মারা গেছেন’

প্রকাশ:  ১৭ মার্চ ২০১৮, ০২:৩১
অনলাইন ডেস্ক

বিমান বিধ্বস্তের দিনই স্বামী আর সন্তান মারা গেছে। তারা আর কোনো দিন আলমুন নাহার অ্যানির কাছে আসবে না। কিন্তু এই নিষ্ঠুর সত্য তিনি এখনো জানেন না। তাই কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হুইল চেয়ারে করে ডাক্তারের সাহায্যে প্রিয়জনকে খুঁজেছেন। এটাতো গতকালের কথা।

আজ শুক্রবার অ্যানিকে দেশে আনা হয়েছে। দেবর মেহেদী হাসান ও তার স্ত্রী সৈয়দা কামরুন নাহার স্বর্ণার সঙ্গে দেশে ফিরেছেন তিনি। তবে অ্যানি এখনও জানেন না তার মেয়ে ও স্বামী বেঁচে নেই।

সম্পর্কিত খবর

    নেপালের ত্রিভুবন বিমানবন্দরে ইউএস বাংলার একটি বিমান বিধ্বস্তে অনেকের মত প্রিয়ক ও প্রিয়ংময়ী তামারা মারা যান। তবে বেঁচে যান আলমুন নাহার অ্যানি।

    কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে দেশে ফিরে আসেন অ্যানি। আসার আগে তিনি তার স্বজনদের কাছে প্রিয়ক ও তামারার কথা জিজ্ঞেস করেন। তারা অ্যানিকে জানান আগেই তাদের বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

    প্রিয়কের চাচাতো ভাই সোহানুর রহমান বলেন, ‘অ্যানি ভাবি এখনও জানেন না প্রিয়ক ভাই মারা গেছেন। উনাকে বলা হয়েছে, আমি ভাইয়া আর বাবুকে নিয়ে গেছি।’

    আলমুন নাহার অ্যানিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।

    স্বামী আর সন্তানকে কাছে না পেয়ে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন অ্যানি। আনমনে অন্য দিকে তাকিয়ে থাকছেন। অনবরত তার গাল গড়িয়ে অশ্রু ঝরছে। তিনি কাঁদছেন। আর স্বামী-সন্তানকে তার কাছে এনে দিতে বলছেন।

    জানা যায়, তিন বছরের শিশু কন্যাকে নিয়ে বাঁচতে গিয়ে প্রাণ হারান এফএইচ প্রিয়ক। ইচ্ছে করলে তিনি একা বিমান থেকে লাফিয়ে বাইরে বের হয়ে আসতে পারতেন। কিন্তু চোখের সামনে মেয়ের এমন মৃত্যু সইতে পারবেন না জেনেই তাকে কোলে নিয়ে বের হতে চেষ্টা করেন। কিন্তু ব্যর্থ হন। চিরবিদায় নেন মেয়েসহ। তাদের লাশ এখনো কাঠমান্ডুতে আছে।

    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close