• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

অবশেষে স্বীকার করলো মিয়ানমার

প্রকাশ:  ১৭ মার্চ ২০১৮, ২৩:২২ | আপডেট : ১৭ মার্চ ২০১৮, ২৩:৪৩
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

গত বছরের ২৫ আগস্টের পর থেকে প্রায় পাঁচ লাখ ৩৫ হাজার মুসলমান মংডু ছেড়ে পালিয়ে গেছে। প্রথমবারের মতো বিষয়টি স্বীকার করলো মিয়ানমার সরকার।

শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য সরকারের সচিব টিন মং সোয়ে।

সম্পর্কিত খবর

    ইয়াঙ্গুনে বিবিসি বার্মিজ বিভাগের সংবাদদাতা স ইয়েন নাইংকে উদ্ধৃত করে বিবিসি বাংলা জানায়, ‘রাখাইন রাজ্য সরকারের সচিব বলেছেন, পাঁচ লাখেরও বেশি মুসলিম রিফিউজি বাংলাদেশে পালিয়ে গেছে। গত বছরের আগস্ট মাসের শেষ দিকে আরসার (আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি) আক্রমণের পর তারা পালিয়ে যায়। কিন্তু কিভাবে এই তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে সেটি বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।’

    রাখাইনের আঞ্চলিক সরকারের সচিব জানিয়েছেন, গত বছরের ২৫ আগস্টের আগে রাখাইনে ‘প্রায় ১০ লাখ পাঁচ হাজার মুসলিম’ ছিল। এখনো রাখাইনে প্রায় চার লাখ ৭০ হাজার মুসলিম রয়েছে বলে দাবি করছেন সচিব টিন মং সোয়ে। কিন্তু জাতিসংঘ ও বাংলাদেশ সরকার যে হিসাব দিচ্ছে, তার তুলনায় পালিয়ে যাওয়া রোহিঙ্গাদের বিষয়ে মিয়ানমার সরকারের হিসাব প্রায় দেড় লাখ কম।

    বাংলাদেশ সরকারের শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন বিষয়ক কমিশনার আবুল কালাম বিবিসিকে বলেছেন, গত ছয় মাসে বাংলাদেশে কত রোহিঙ্গা পালিয়ে এসেছে, সেটি শুধু বাংলাদেশ সরকারই হিসাব করেনি, বরং জাতিসংঘসহ বিভিন্ন সংস্থাও হিসাব করেছে এবং সবাই ছয় লাখ

    ৯২ হাজার শরণার্থীর বিষয়ে একমত। রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে মিয়ানমার সরকারের ওপর গত ছয় মাসে আন্তর্জাতিক চাপ বেড়েছে। রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর বিষয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার এরই মধ্যে একটি চুক্তিও করেছে; কিন্তু প্রত্যাবাসনের মূল কাজটিই এখনো শুরু হয়নি।

    ইয়াঙ্গুনে বিবিসি বার্মিজ বিভাগের সংবাদদাতা স ইয়েন নাইংকে উদ্ধৃত করে বিবিসি বাংলা জানায়, জাতিসংঘের হিসাবের সঙ্গে মিয়ানমার সরকারের হিসেবে বড় পার্থক্য থাকলেও ঠিক কত মানুষ পালিয়ে গেছে সে বিষয়ে দেশটির সরকার আগে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য দেয়নি। জাতিসংঘের সঙ্গে মিয়ানমার সরকারের তথ্যে ব্যবধান রয়েছে। কিন্তু অতীতে মিয়ানমার সরকার সংখ্যাটি সুনির্দিষ্টভাবে কখনোই বলেনি। তারা শুধু বলেছিল, কয়েক হাজার পালিয়ে গেছে।

    এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন বিষয়ক কমিশনার আবুল কালাম বলেন, ‘সে অর্থে বলা যেতে পারে যে এটা তারা (মিয়ানমার) একটা প্রকাশ্য স্বীকৃতি দিল। তবে তারা যে হিসাব দিয়েছে, সেটা শুধু মংডু এলাকার। আমাদের এখানে মংডু ছাড়াও রাথি-ডং ও বুথি-ডং থেকেও লোক এসেছে। সেখানকার হিসাব যদি তাদের কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে পাওয়া যায়, তাহলে সংখ্যাটি নিঃসন্দেহে বৃদ্ধি পাবে।’

    প্রথম ধাপে ফেরত নেওয়ার জন্য বাংলাদেশের তরফ থেকে মিয়ানমারকে আট হাজারের বেশি রোহিঙ্গার নাম দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দুই দিন আগেই মিয়ানমার সরকারের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ওই তালিকা থেকে তাঁরা মাত্র ৩৭৪ জনের পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছেন এবং তাদেরই প্রথম ধাপে ফেরত নেওয়া হবে।

    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close