• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

এবার মশা ধ্বংস করবে মাছ!

প্রকাশ:  ১৮ মার্চ ২০১৮, ১২:৫২ | আপডেট : ১৮ মার্চ ২০১৮, ১৩:০৫
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

গাপ্পি মাছ দিয়ে গত বছর মশা নিধনের পরীক্ষামূলক কাজ শুরু করেছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন। ২০ মার্চ থেকে প্রকল্প হিসেবে রাজধানীর দক্ষিণ সিটির মশা ধ্বংস করবে এ মাছ। আপাতত ৪৫০ কিলোমিটার নালায় এই মাছের পোনা অবমুক্ত করা হবে।

পাইলট প্রকল্প হিসেবে এ মাছ অবমুক্ত করা হবে দক্ষিণ সিটির অঞ্চল-৪-এর নালাগুলোয়। এতে দরকার হবে প্রায় ১৫ লাখ পিস পোনা। পোয়েসিলা রেটিকুলাটা প্রজাতির এই রঙিন মাছ অ্যাকোয়ারিয়ামের বাহারি মাছ হিসেবেই পরিচিত। সব ধরনের আবহাওয়ায় এ মাছ দ্রুত মানিয়ে নিতে পারে। পানির ওপরের অংশে ঘোরাফেরা করে। এ মাছ মশার লার্ভা খেয়ে ফেলে বলে বিভিন্ন দেশে মশা নিয়ন্ত্রণে গাপ্পির ব্যবহার রয়েছে।

সম্পর্কিত খবর

    তবে গাপ্পি অতিদ্রুত বংশ বিস্তার করে বলে উন্মুক্ত জলাশয়ে এ মাছ ছড়িয়ে পড়া ক্ষতির কারণ হতে পারে। একটি গাপ্পি মাছ দিনে গড়ে ৫০টি লার্ভা ধ্বংস করতে পারে। আমাদের প্রতিবেশী ভারতে এ মাছের সাহায্যে মশার প্রজনন ধ্বংস করা হচ্ছে। মশা নিয়ন্ত্রণে ছিটানো ওষুধের কার্যকারিতা যখন প্রশ্নের মুখে তখন পতঙ্গটি নিয়ন্ত্রণে গাপ্পি মাছের ওপর ভরসা করছেন মেয়র খোকন।

    ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন সূত্র জানায়, গত অর্থবছরে মশা নিধনে বরাদ্দ ছিল ১১ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এবার রাখা হয়েছে ২৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা। শীত শেষে গরম আসতে না আসতে মশা যখন আবার নগরবাসীর বিরক্তির কারণ, তখন আবারও সেই গাপ্পি মাছ দিয়ে মশা নিধনের কথা বলছেন মেয়র খোকন। ২০১৭ সালের ৭ আগস্ট রাজধানীর একটি সেমিনারে গাপ্পি মাছকে মশার বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন তিনি। সেদিন একটি নালায় তিনি এ মাছটি অবমুক্তও করেন।

    তিনি আরও জানিয়েছিলেন, নগরীর অন্য নালা ও জলাশয়েও এ মাছ ছাড়া হবে। জানতে চাইলে সাঈদ খোকন বলেন, ‘নগরীর অনেক এলকার ড্রেনগুলোয় পানি না থাকায় এ প্রকল্প হাতে নিতে সময় লেগেছে। দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অঞ্চল-৪ জরিপ শেষ করেছি। সেখানের ড্রেনগুলোয় পানি রয়েছে। ২০ মার্চ পাইলট প্রকল্প হিসেবে গাপ্পি মাছ ছাড়া হবে। আশা করছি ভালো ফল পাওয়া যাবে।’

    গাপ্পি মাছের পরিচয়-

    রামধনু মাছ নামেও পরিচিত। বিশ্বের সবচেয়ে ব্যাপকভাবে বিস্তৃত গ্রীষ্মমণ্ডলীয় মাছ। ছোট, রঙিন ও সহজে রাখা যাওয়ায় অ্যাকোয়ারিয়াম-প্রেমীদের কাছে এর পরিচিতি ব্যাপক। গাপ্পির প্রাকৃতিক সীমা উত্তর-পূর্বে দক্ষিণ আমেরিকা, বিভিন্ন দেশে প্রচলিত হয়ে এখন বিশ্বজুড়ে পাওয়া যায়। এরা অত্যন্ত অভিযোজন ক্ষমতাসম্পন্ন। বিভিন্ন পরিবেশ ও অবস্থায় বেঁচে থাকতে পারে।

    গাপ্পি সাধারণত বন্দী অবস্থায় তিন থেকে পাঁচ বছর এবং বন্য পরিবেশ এর চেয়ে কিছুটা কম বেঁচে থাকে। গাপ্পি একটি সর্বভুক প্রাণী ও পানিতে পাওয়া যায় এমন অনেক জৈব পদার্থ খায়। গাপ্পি স্ত্রী মাছগুলো আকারে বড় (২-৬ সেমি) হয় পুরুষের (১ দশমিক ৫-৩ সেমি) তুলনায়।

    জলাশয়ের ওপরের স্তরেই মূলত ঘোরাফেরা করে। ২০ থেকে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাই এদের বেশি পছন্দ। এরা দল বেঁধে থাকে এবং অন্যদের সঙ্গে থাকতেও কোনো আপত্তি করে না।

    সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন

    /এসএম

    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close