• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

ভোলা-ঢাকা নৌপথে প্রতিদিন ৮টি লঞ্চ চলাচলের নির্দেশ

প্রকাশ:  ১৮ মার্চ ২০১৮, ২১:১৯
ভোলা প্রতিনিধি

অবশেষে ভোলা-ঢাকা নৌ-পথে লঞ্চ রোটেশন মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। আদালত প্রতিদিন ভোলা থেকে ৪টি ও ঢাকা থেকে ৪টি করে উভয় দিক হতে মোট ৮টি যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচলের নির্দেশ দিয়েছে।

রোববার ভোলার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. আখতারুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।

সম্পর্কিত খবর

    আদালতের রায়ে বলা হয়, বাদী রুহুল আমিন কুট্টির আবেদনের ভিত্তিতে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগ ভোলা এর পরিবহন পরিদর্শকের কাছে ব্যাখ্যা ও প্রতিবেদন প্রাপ্তির আদেশ প্রদান করেন। সে অনুসারে ভোলা নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিবহন পরিদর্শক নাসিম আহমেদ গত ১১ মার্চ ২০১৮ইং তারিখে তার স্বাক্ষরযুক্ত একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন।

    প্রতিবেদনে বলা হয়, “ভোলা-ঢাকা নৌ-পথে লঞ্চ কর্তৃপক্ষের লঞ্চ চলাচলের সংখ্যা নির্ধারণের এখতিয়ার নেই। বর্তমানে ভোলা-ঢাকা নৌপথে প্রতিদিন ৪টি করে উভয় দিক হতে মোট ৮টি লঞ্চ চলাচলের স্থলে ২টি করে মোট ৪টি লঞ্চ চলাচল করছে।”

    আদলতের রায়ে আরও বলা হয়, ভোলা-ঢাকা নৌপথে ৪টি করে উভয় দিক হতে মোট ৮টি লঞ্চ চলাচলের অনুমতি থাকার পরেও ২টি করে মোট ৪টি লঞ্চ চলাচল করায় যাত্রী সাধারণের অসুবিদা হচ্ছে মর্মে বাদী তার দরখাস্তে উল্লেখ করেছেন। তাই বর্তমানে প্রচলিত আইন ও বিধি অনুসরণ করে ভোলা-ঢাকা, ঢাকা-ভোলা রুটে প্রতিদিন ৪টি করে উভয় দিক হতে মোট ৮টি যাত্রীবাহী লঞ্চ চালানোর জন্য বিবাদীগনকে নির্দেশ প্রদান করা হল।

    আদালতের রায়ে সন্তোস প্রকাশ করে মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী এ্যাডভোকেট গোলাম মোরশেদ কিরণ তালুকদার বলেন, ভোলার ২৫ লাখ মানুষকে জিম্মি করে লঞ্চ মালিক পক্ষের এতদিন ধরে যে অবৈধ রোটশেন প্রথা চালে আসছে তা আজ আদালত আমদের পক্ষে রায় দিয়েছে। আমরা রায়ের কপি লঞ্চ মালিক পক্ষের কাছে পৌছে দিব। আমরা ন্যায় বিচার পেয়েছি।

    প্রসঙ্গত, গত ১৯ নভেম্বর ২০১৭ইং তারিখে রোটেশন প্রথা বন্ধে যাত্রীদের পক্ষে ব্যবসায়ী মো. রুহুল আমিন কুট্টি বাদী হয়ে ভোলার চিফ জুডিসিয়াল আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে কেনো লঞ্চ মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যাবে মর্মে সমন জারি করে। ৩০ নভেম্বর ভোলার সচেতন নাগরিক কমিটির ব্যানারে রোটেশন প্রথা ও যাত্রী হয়রানি বন্ধের প্রতিবাদে মানববন্ধনও করেন ভোলার সর্বস্তরের মানুষ।

    এছাড়া গত ২২ ডিসেম্বর ২০১৭ইং তারিখে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ভোলায় সফরকালে জেলা প্রশাসক মোহা. সেলিম উদ্দিনকে রোটেশন প্রথা বন্ধের প্রযোজনীয় ব্যবস্থা নেয়ারও নির্দেশ দেন।

    ওএফ

    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close