‘১.৩৯ একর খাল তিন প্রভাবশালীর কব্জায়’
কুলাউড়ায় সরকারি জায়গা উদ্ধারে কতটা তৎপর প্রশাসন?
গেল বছরের মার্চ থেকে সেপ্টেম্বর মাস টানা তিন দফা দীর্ঘস্থায়ী বন্যায় কুলাউড়ায় চরম ক্ষতিগ্রস্থ করেছে সর্বমহলের সাধারণ মানুষের। তিন মাসের টানা বন্যার দুভোর্গের চিত্র এখনো চোখে ভাসে। বিশেষ করে পৌর এলাকার মানুষের সীমাহীন ক্ষতিগ্রস্থের সম্মুখিন হতে হয়েছে। দীর্ঘ জলাবদ্ধতায় আশপাশের খোলা টয়লেট উপড়ে সর্বত্র ছড়িয়েছে। চারদিকে থৈ থৈ পানির কারণে ঘরবন্দি ছিলো অস্যংখ মানুষ। কেউ কেউ আশ্রয় নেন আত্মীয়স্বজনদের বাসায়। সাধরণত কুলাউড়া শহর এলাকায় বন্যার প্রভাব ছিলো লক্ষণীয়।
কেননা পর্যাপ্ত পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় কুলাউড়া উপজেলা পরিষদের রাস্তাসহ আশপাশ ছিলো পানিতে নিমজ্জিত। বন্যার দীর্ঘ ৬ মাস অতিবাহিত হলেও শহরের জলাবদ্ধতা দূরীকরণে পানি নিষ্কাশনের ব্যাপারে দৃশ্যমান স্থায়ী কোন পদক্ষেপ দেখা যায়নি। বর্তমানে পানি নিষ্কাশনের সুষ্ঠ ব্যবস্থা না নিলে এবছরও চরম জলাবদ্ধতায় নিমজ্জিত হতে হবে কুলাউড়া শহরবাসীকে। সাথে দুভোর্গ পোহাতে হবে কুলাউড়ার আশপাশের বাসিন্দাদের।
সম্পর্কিত খবর
অনুসন্ধানে জানা যায়, পানি নিষ্কাশনের সরকারি মোট ১.৩৯ একর জায়গা রয়েছে তিন প্রভাবশালীর দখলে। আর এসব জায়গায় গড়ে উঠেছে ব্যক্তি মালিকানাধীন তিনটি ইটভাটা। এরমধ্যে রয়েছে কুলাউড়া পৌর মেয়র শফি আলম ইউনুছের মালিকানাধীন দক্ষিণ কুলাউড়ার মের্সাস জোনাকী ব্রিকস্, আলহাজ¦ মো. মনছব মিয়ার মালিকানাধীন কুলাউড়ার নাছনী এলাকায় মেসার্স মেঘনা ব্রিকস্, মো. শরীফ খানের মালিকানাধীন রাজনগরের সালন এলাকায় মেসার্স খান ব্রিকস রয়েছে সরকারি জায়গার উপর।
তথ্যমতে, কুলাউড়া পৌর মেয়র শফি আলম ইউনুছের মালিকানাধীন দক্ষিণ কুলাউড়ার মের্সাস জোনাকী ব্রিকস পানি নিষ্কাশনের সরকারি জায়গা (খাল) দখল করেছে ০.৩৫ একর, আলহাজ¦ মো. মনছব মিয়ার মালিকানাধীন কুলাউড়ার নাছনী এলাকার মেসার্স মেঘনা ব্রিকস্ পানি নিষ্কাশনের সরকারি জায়গা (খাল) দখল করেছে ০.২৫ একর এবং রাজনগরের সালন এলাকায় মো. শরীফ খানের মালিকানাধীন মেসার্স খান ব্রিকস পানি নিষ্কাশনের সরকারি জায়গা (খাল) দখল করেছে ০.৭৯ একর। এ তিনটি ব্যক্তি মালিকানাধীন ইটভাটা উত্তরকৌলা মৌজার, জেএল নং- ৯৭, ০১ নং খতিয়ানের ৬৬০৭, ৬৬০৮ ও ৬৬৩২ দাগের মোট সরকারি খাল ভরাট করে দখল করেছে ১.৩৯ একার। সরকারি জায়গা দখল করে দপটের সাথে চলছে রমরমা তাদের ইটের ব্যবসা।
এ ব্যাপারে কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চৌধুরী মো. গোলাম রাব্বী বলেন, আমরা ইতিমধ্যে আইনানুগ কার্যক্রম শুরু করেছি। আশা করি, আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে একটি দৃশ্যমান ব্যবস্থা নেওয়া হবে।