যেভাবে হল প্রভোস্ট হলেন যুব মহিলা লীগের সদস্য
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি সুফিয়া কামাল হলের প্রভোস্ট যুব মহিলা লীগের সদস্য অধ্যাপক সাবিতা রেজওয়ানা রহমান। আর হল পরিচালনায় তিনি দলের প্রভাব খাটান বলে অভিযোগ উঠেছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে।
অনেক শিক্ষার্থীর প্রশ্ন কিভাবে অধ্যাপক সাবিতা রেজওয়ানা রহমান হল প্রাধ্যক্ষ হলেন। তবে সে প্রশ্নের জবাব এখনো অজানা তাদের কাছে।
সম্পর্কিত খবর
কবি সুফিয়া কামাল হল থেকে কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে বৃহস্পতিবার(১৯এপ্রিল) রাতে অন্তত ২০ জন আবাসিক ছাত্রীকে বের করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। রাত সাড়ে ১১ টা থেকে রাত সাড়ে ১২ টার মধ্যে পর্যায়ক্রমে ৯ জন ছাত্রী হল থেকে বেরিয়ে যান। তবে তারা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত নেত্রী নাকি কোটা সংস্কার আন্দোলনের পক্ষের শিক্ষার্থীরা- সে বিষয়টি নিশ্চিত করে কেউ কিছু বলেননি।
হল থেকে একজন আবাসিক শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, গত ১০ এপ্রিল রাতে কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে হলের ভিতর ছাত্রলীগ সভাপতি ইফফাত জাহান এশা’র গলায় জুতার মালা পরিয়ে দেয় আন্দোলনের পক্ষের সাধারণ ছাত্রীরা। ওই ঘটনার সঙ্গে ২৬ জন ছাত্রী জড়িত রয়েছে বলে হল কর্তৃপক্ষ চিহ্নিত করে। এই ২৬ জনের অভিভাবকদের গতকাল সন্ধ্যার পর থেকে ডেকে আনা হয়। অভিভাবকদের কাছে ছাত্রীদের তুলে দেয়া হয়।
যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আক্তার ও সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল। পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটি সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ মোট ১২১ সদস্যবিশিষ্ট।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ড. সাবিতা রেজওয়ানা বলেন, অনেক মেয়ে ফেক আইডির মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হলের বিরুদ্ধে নানা গুজব ছড়াচ্ছে। তাই অনেককে ডেকে এনে মোবাইল চেক করা হয়েছে। আর কেউ যদি হল ছেড়ে কারো রিলেটিভের বাসায় যায় তাহলে কার কী করার আছে।
তবে কারও মোবাইলে সন্দেহজনক কিছু পেয়েছেন কিনা- জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি লাইনটি কেটে দেন। পরবর্তীতে কয়েকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ না করে মোবাইল ফোনটি বন্ধ করে দেন।
এ বিষয়ে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, এগুলো গুজব। এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে একটি গোষ্ঠী এসব গুজব ছড়াচ্ছে। এসব গুজবে কান দেয়া যাবে না।
/এজেড