• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বিএনপি নির্বাচনে আসবে না, আসতে পারে না

প্রকাশ:  ০৪ মে ২০১৮, ০১:১৪
মেজর মো. আখতারুজ্জামান (অব.)

নির্বাচন কমিশন (ইসি) আগামী অক্টোবরে সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হতে পারে এমন একটি আগাম খবর বাজারে ছেড়েছে। লক্ষ্য বহুমুখী। ইসির লক্ষ্য যাই হোক, এটি বাস্তব যে জনগণ নির্বাচন চায়। সরকার এবং বিরোধী দলগুলোও চায় নির্বাচন। কারণ, সরকার ও বিরোধী দলগুলোর সামনে নির্বাচন ছাড়া তেমন কোনো ভালো বিকল্প খোলা নেই।

দেশ, জাতি, সর্বোপরি প্রধানমন্ত্রীর স্বার্থে ২০১৯ সালের মার্চের মধ্যে একটি নির্বাচন হতেই হবে। এখন লাখো-কোটি টাকার প্রশ্ন— সেই নির্বাচন ২০১৪ সালের মতো হবে নাকি সব দলের বিশেষ করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির অংশগ্রহণে জনগণের অংশগ্রহণের নির্বাচন হবে? এ প্রশ্নের ইতিবাচক উত্তর খুঁজতে গেলে বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিয়ে কতগুলো বাস্তব পদক্ষেপ নিতে হবে, যার ওপর মূলত নির্ভর করবে আগামী নির্বাচনের সম্ভাবনা।

সম্পর্কিত খবর

    ২০-দলীয় জোট তথা বিএনপি চেয়ারপারসন এখন আদালতের সুনির্দিষ্ট রায়ে কারাবন্দী যা আগামী নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণে প্রচণ্ড বাধা হয়ে দাঁড়াবে। হয়তো সরকার এ সমস্যাটিকে তেমন গুরুত্ব না দিয়ে এ নিয়ে বিকল্প কিছু ভাবছে যা সত্যিকারভাবে সমস্যার সমাধান না হয়ে বরং নির্বাচনকে আরও জটিল করে তুলবে। আদালতের অনভিপ্রেত রায় আগামী নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ প্রায় অসম্ভব করে ফেলেছে। এখন খোদ চেয়ারপারসন জেলে থেকে বা জেল থেকে বেরিয়ে নিজের মুখেও যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণের কথা বলেন তাহলেও জনগণ বিশ্বাস করবে না যে তিনি নিজের ইচ্ছায় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার কথা বলছেন।

    জনগণ স্বতঃসিদ্ধভাবে ধরে নেবে যে এটি সরকার এবং বিদেশি শক্তির চাল ও চাপ। কিন্তু বিএনপির অংশগ্রহণ ছাড়া আগামী নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করার কোনো বিকল্প সরকারের সামনে খোলা নেই যা বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিএনপির সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক শক্তি। দলের বিষয়টি সরকারের কাছেও গোপন নেই তাই সরকার বিএনপিকে তছনছ করে দেওয়ার জন্য বিএনপির নেতৃত্বের ওপর প্রচণ্ডতম আঘাত হানার চেষ্টা করছে। দলের চেয়ারপারসনকে জেলে দিয়েই ক্ষান্ত হয়নি, বিচার বিভাগের ওপর নগ্ন হস্তক্ষেপ করে জামিনের পথও রুদ্ধ করে রেখেছে, তার উপরে এখন চড়াও হয়েছে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের ওপর। খোদ প্রধানমন্ত্রী এখন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সরাসরি বক্তব্য দিচ্ছেন, যা খুবই চমকপ্রদ। এর মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দুর্বলতাই প্রকাশ পাচ্ছে। এ বক্তব্য অন্য কোনো নেতারা দিলে প্রধানমন্ত্রী অহেতুক সমালোচনার হাত থেকে বেঁচে যেতেন। যাই হোক, বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে সরকার এখন বেপরোয়া, তাই কোনো অবস্থাতেই চেয়ারপারসনের মুক্তির ব্যাপারে বা মুক্তি আন্দোলনে তিল পরিমাণ ছাড় দিতে প্রস্তুত নয়।

    বিএনপির নেতৃত্ব যেন সরকারের জীবন-মরণ সমস্যা, তাই যে কোনো মরণকামড় দিতে সরকার এখন এতটুকু পিছপা হবে না বলেই মনে হয়। তবে সরকারের এ কঠোর মরণকামড় বা মাটি আঁকড়ে ধরার নীতি সরকারকেই আরও জটিল রাজনৈতিক অবস্থার দিকে নিয়ে যাচ্ছে এবং আগামী নির্বাচনকে আরও অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলে দিয়েছেন যে বর্তমান সরকারের মেয়াদ ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারি শেষ হবে। এখন যদি এর আগে গ্রহণযোগ্য কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হয় তাহলে সংবিধানের অতিরিক্ত বিধানবলে ওইদিন সংসদ আপনাআপনি বিলুপ্ত হয়ে যাবে এবং বর্তমান সরকার পরবর্তী ৯০ দিন বা ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সরকার গঠিত না হওয়া পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হিসেবে ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রাখতে পারবে। কিন্তু ওই ৯০ দিনের মধ্যে যদি বিএনপির অংশগ্রহণে কোনো গ্রহণযোগ্য নির্বাচন না হয় তাহলে ২০১৯ সালের ২৮ এপ্রিলের পরে যে সাংবিধানিক শূন্যতা সৃষ্টি হবে তা জাতির কাছে কখনই কাম্য হতে পারে না। তাই ২০১৯ সালের ২৮ এপ্রিলের আগে অবশ্যই একটি নির্বাচন হতেই হবে তাতে বিএনপি আসুক বা না আসুক বা সেই নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হোক বা না হোক। নির্বাচনের বিকল্প অনেক কিছু আছে কিন্তু সেগুলো নিয়ে জনগণ ভাবতে চায় না। সেই ভাবনাগুলো ষড়যন্ত্রকারীদের যারা লক্ষণীয়ভাবে আবার তৎপর।

    সম্প্রতি রোহিঙ্গাদের সমস্যা নিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ২২টি দেশের একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করে গেল অথচ তারা কেউ জানার চেষ্টা করল না রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে বাংলাদেশের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর মনোভাব কী বা তারা কীভাবে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান কামনা করে। নিরাপত্তা পরিষদের ভাবসাব দেখে মনে হলো মিয়ানমার সরকারের মতো বাংলাদেশেও একনায়কতন্ত্রী শাসন জারি আছে বলে তারা সম্ভবত মনে করে; যার জন্য অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে দেখা বা আলোচনা করার প্রয়োজন হয়নি। এ বিষয়টি জনমনে নতুন ভীতি তৈরি করেছে অর্থাৎ আগামী নির্বাচনও ২০১৪ সালের মতো ভোটবিহীন হতে যাচ্ছে এবং আগামীতে সরকারে কোনো পরিবর্তন অন্তত নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য দেশগুলো দেখে না। যার সোজাসুজি অর্থ দাঁড়াচ্ছে নিকট ভবিষ্যতে ২০-দলীয় জোটপ্রধানের মুক্তির ব্যাপারে নিরাপত্তা পরিষদের কোনো মাথাব্যথা নেই। অথচ এত দিন জাতি জেনে আসছিল যে পশ্চিমা শক্তিগুলোর আশ্বাসে এবং প্রতিশ্রুতিতে ২০-দলীয় জোটপ্রধান গত আগস্টে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দিতে আহ্বান জানিয়েছিলেন যার তিন দিন পরে প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দিতে নির্দেশ দেন। এর প্রমাণ সরকারি দলিল-দস্তাবেজেই আছে।

    যাই হোক, জনশ্রুতি আছে, কথা নাকি ছিল ২০-দলীয় জোটপ্রধান সেই আহ্বান জানালে জাতিসংঘ মহাসচিবের নেতৃত্বে চীন, রাশিয়া ও ভারত ছাড়া আমেরিকাসহ সব পশ্চিমা শক্তি ২০-দলীয় জোটপ্রধানের সঙ্গে থাকবে যার ফলে নেত্রী তড়িঘড়ি করে লন্ডন থেকে দেশে ফিরে এসে মামলাগুলোতে যথারীতি হাজিরা দিতে থাকেন। জেল হওয়ার আগের রাতেও নেত্রী দৃঢ়চিত্তে সবার সামনে বলেছেন মামলায় তার কিছুই হবে না এবং হলেও কেউ যেন সহিংস কোনো আন্দোলন না করেন। নেত্রীকে ফাঁদে ফেলে সরকার এখন জাতিসংঘের সঙ্গে মিলে রোহিঙ্গাদের সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত ক্ষমতা ধরে রাখতে চায়, প্রয়োজনে আরেকটি ভোটবিহীন নির্বাচন করে হলেও। সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, রোহিঙ্গা ইস্যতে ভারত, রাশিয়া, চীনের সমর্থন তিনি পেয়েছেন।

    প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্য খুবই অর্থবহ; কারণ এ সরকারের হাতে সময় আছে আর মাত্র আট মাস কিন্তু রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান যত আন্তরিকতা ও দ্রুততার সঙ্গে করা হোক না কেন অন্তত আরও তিন বছর লাগবে। তার মানে বিদেশিরা এ সরকারকে আরও অন্তত তিন বছর ক্ষমতায় রাখতে তাদের নীতিগত সমর্থন দিয়ে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্য এবং নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিনিধি দলের সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্য ‘রোহিঙ্গা সমস্যা এভাবে ফেলে রাখা যায় না’ (বাংলাদেশ প্রতিদিন ১-৫-১৮-এর প্রথম পৃষ্ঠা দ্রষ্টব্য) ও সেই সঙ্গে প্রতিনিধিদের অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা না করা, এ মিলে তিন বিষয়ের সহজ মোজেজা হলো— চলমান সরকারের ধারাবাহিকতায় বিদেশিদের নীতিগত সম্মতি রয়েছে। ২০-দলীয় জোট নেত্রী অনির্দিষ্টকালের জন্য জেলে বন্দী, কোনো আন্দোলন করে বিএনপি যে তাদের নেত্রীকে খুব তাড়াতাড়ি বের করে আনতে পারবে তার কোনো লক্ষণও কার্যকলাপে দৃশ্যমান নয়, তাই নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিনিধি দলের সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্য ‘রোহিঙ্গা সমস্যা এভাবে ফেলে রাখা যায় না’ খুবই যথার্থ। কাজেই বিদেশিরা কোন আশায় বসে থাকবে তার চেয়ে বর্তমান সরকারের অবস্থান অনেক বেশি পরিষ্কার এবং তাদের প্রতিশ্রুতিও অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য। কাজেই কোনো প্রকার অনিশ্চতায় না থেকে বর্তমান সরকারের ধারাবাহিকতাকে সাহায্য করা অনেক বেশি বুদ্ধিমানের কাজ হবে। জনগণের ধারণা, বিদেশিরা তা-ই করতে যাচ্ছে। তাই জনগণ মনে করে দেশ আরেকটি ভোটবিহীন নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে।

    দেশ যে ভোটবিহীন নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে তার পরও সচেতন মানুষ মনে করে হয়তো সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হবে এবং সরকার দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে একটি অংশগ্রহণমূলক গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে। অংশগ্রহণমূলক গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে সরকারের ঝুঁকি বাড়বে এতে কোনো সন্দেহ নেই তবে সেই ঝুঁকি জনরোষে পড়ে ক্ষমতা থেকে নির্দয়ভাবে বিতাড়িত হওয়ার ঝুঁকির চেয়ে অনেক কম। রাজনীতি বৈশাখের ঝড়ের মতো, যা বোঝার আগেই মুহূর্তেই সবকিছু উলট-পালট করে দেয় তখন কাউকেই পাশে পাওয়া যায় না।

    বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বিএনপি নির্বাচনে আসবে না, আসতে পারে না। তার পরও রাজনীতিতে সবকিছু পরিবর্তনশীল। সময়, প্রেক্ষাপট, সুযোগ বা সম্ভাবনা রাজনীতির সব সিদ্ধান্তকে উলট-পালট করে দেয়। অসৎ বা নোংরা কূটচালের রাজনীতির পথে না গিয়ে সাহসের সঙ্গে ঝুঁকি নিয়ে বলিষ্ঠ রাজনৈতিক পদক্ষেপে হেরে গেলেও ব্যক্তি হারবে কিন্তু রাজনীতি হারবে না। তা ছাড়া বিদেশিরা আবারও তাদের কায়েমি স্বার্থে ভোটবিহীন নির্বাচন মেনে নিলে জনগণ যে তা নীরবে মেনে নেবে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। জনগণ এমনিতেই খেপে ফুলেফেঁপে আছে। যে কোনো সময় বিস্ফোরিত হতে পারে। তেমন কোনো গ্রহণযোগ্য ইস্যু নেই তাই দৃশ্যত মনে হচ্ছে জনগণ ঠাণ্ডা শীতল। জনগণ কিছুই বোঝে না। কিন্তু জনগণ এবার জীবন দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে। বুকের তাজা রক্ত ঢেলে জনগণ এবার ভোটবিহীন নির্বাচন ঠেকাবে। সরকারের নীলনকশায় সংসদ রেখে নির্বাচন জনগণ হতে দেবে না। সংসদ রেখে নির্বাচনের সাংবিধানিক বিধি জনগণের অভিপ্রায় নয়।

    সরকারকে জনগণ মনে করিয়ে দিতে চায় সংসদ রেখে সাংবিধানিক বিধি জনগণ চায় না। এ ধরনের কোনো অভিপ্রায় জনগণ কখনই ব্যক্ত করেনি এবং জনগণের ভোটে নির্বাচিত কোনো সংসদও সেই বিধি প্রণয়ন করেনি। সংবিধানের ৭-এর (২)-এ সংবিধানের প্রাধান্য হিসেবে সুস্পষ্ট সাংবিধানিক বিধি আছে যে, ‘জনগণের অভিপ্রায়ের পরম অভিব্যক্তিরূপে এই সংবিধান প্রজাতন্ত্রের সর্ব্বোচ্চ আইন এবং অন্য কোনো আইন যদি এই সংবিধানের সহিত অসামঞ্জস্য হয়, তাহা হইলে সেই আইনের যতখানি অসামঞ্জস্যপূর্ণ, ততখানি বাতিল হইবে।’ যেহেতু এই মর্মে জনগণের কোনো অভিপ্রায় নেই এবং ছিল না তাই সংসদ বহাল রেখে সংসদ নির্বাচন জনগণ মানে না এবং মানবে না। জনগণের প্রত্যাশা, সরকার জনগণের বিপক্ষে কখনই অবস্থান নেবে না এবং দেশকে অরাজকতার দিকে ঠেলে দেবে না। এমনিতেই বর্তমানের অনেক সংসদ সদস্য পুলিশ পাহারা ছাড়া নির্বাচনী এলাকায় যেতে পারে না। বিগত সময়ের অপকর্মের হিসাব জনগণ নেবে আগামী নির্বাচনের মাঠে, তখন পুলিশ দিয়েও তাদের রক্ষা করা যাবে না। এটি আমার কথা নয়। বাতাসের কথা যা কান পাতলেই শোনা যায়।

    জনগণের প্রত্যাশা, সরকার সংসদ ভেঙে নির্বাচন দিক, নির্বাচনে কোন দল বা কে এলো না এলো তা জনগণ বিবেচনা করবে না। সরকারে কে থাকল আর না থাকল তা নিয়েও জনগণের কোনো ভাবনা নেই। জনগণ ভোট দিতে চায়, জনগণের ভোটের কী ক্ষমতা তা জনগণ দেখাতে চায়। জনগণ সন্ত্রাস চায় না। চায় না বিদেশি আধিপত্য। জনগণ শান্তি, ভোটাধিকার, দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন, সুযোগের সমতা, জীবন ও পেশার সমসুযোগ ও নিরাপত্তা, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা, ন্যায়বিচারের নিশ্চয়তা এবং পুলিশের বাড়াবাড়ি থেকে মুক্তি চায়। যে দল, গোষ্ঠী বা ব্যক্তি এ চাহিদাগুলো মেটানোর ন্যূনতম নিশ্চয়তা দিতে পারবে জনজোয়ার সেদিকেই ধাবিত হবে। মানুষ পরিবর্তন চায়। এখন যৌবন যার ক্ষমতায় আসার অধিকার তার। তাই জনগণ পরিবর্তন চায় নতুনের পক্ষে। পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়। মনে হয় পরিবর্তন এবার হবেই হবে। ‘ঐ নূতনের কেতন ওড়ে কাল-বোশেখির ঝড়, তোরা সব জয়ধ্বনি কর! তোরা সব জয়ধ্বনি কর!!’

    লেখক : সাবেক সংসদ সদস্য।

    সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন

    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close