নয় মাস পর সংঘর্ষে নিহত পুলিশ সদস্যের লাশ উত্তোলন
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারর উপজেলার কালাপাহাড়িয়া এলাকায় নিহত কনস্টেবল রুবেল মাহামুদ সুমনের লাশ দাফনের নয় মাস পর রবিবার বিকেলে কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। পুনরায় ময়না তদন্তের জন্য আদালতের নির্দেশে এ লাশ উত্তোলন করা হয়।
এসময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আড়াইহাজার উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) রেজওয়ান-উল-ইসলাম, আড়াইহাজার থানার ওসি এম, এ হক, আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার খালেদা নাজনিন ও নারায়ণগঞ্জ ডিবির এসআই ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
সম্পর্কিত খবর
রুবেল উপজেলার কালাপাহাড়িয়া গ্রামের রূপ মিয়ার ছেলে।
ডিবির এসআই ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, রুবেল হত্যাকান্ডের ঘটনায় ময়নাতদন্তের যে রিপোর্ট দেয়া হয়েছে তাতে বাদী পক্ষ সন্তুষ্ট হতে পারেননি। তাই বাদী পক্ষ রুবেলের লাশ উত্তোলন করে পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ আদালতে আবেদন করেন। ফলে আদালত আবেদনের প্রেক্ষিতে কবর থেকে নিহত রুবেলের লাশ উত্তোলন করে পুনরায় ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন। ফলে রবিবার রুবেলের লাশ উত্তোলন করে ময়নাতন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর ঈদের আগের দিন এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কালাপাহাড়িয়ায় আওয়ামী লীগের দু’টি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে ঈদের ছুটিতে বাড়িতে আসা ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পুলিশ কনস্টেবল রুবেল নিহত হন। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই মোঃ কামাল হোসেন বাদী হয়ে কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম স্বপনসহ ৩২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ২০ থেকে ২৫ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ ডিবি পুলিশ তদন্ত করছে। -একে