টাকার অভাবে চিকিৎসা হচ্ছে না ১ম শ্রেণীর ছাত্রী ছাদিয়ার
হবিগঞ্জের বাহুবলে আগুনে পোড়া প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী ছাদিয়ার চিকিৎসা হচ্ছে না টাকার অভাবে। উপজেলার ফয়জাবাদ আশ্রায়ন প্রকল্পের আবু তাহির মিয়ার মেয়ে স্থানীয় সাতকাপন আওলিয়া নূর শিশু কল্যান স্কুলের প্রথম শ্রেনীর ছাত্রী। এরই মধ্যে দিনমজুর পিতা মেয়ের চিকিৎসা বাবদ সিলেট ওসমানী মেডক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১ মাস ২৭ দিন থেকে প্রায় দেড় লাখ টাকা খরচ করে ফেলেছেন। তাও আবার সুদের উপরে নেয়া টাকা। বাড়ছে সুদ, দিশেহারা পিতা। চিকিৎসা না পেয়ে অকালে ঝড়ে যাওয়ার টেনশনে বাবাও মৃত্যুর মুখোমুখি। এক পর্যায়ে সিলেট হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন দায়িত্বরত চিকিৎসক। অসচ্ছল পিতা কোন উপায়ন্তর না পেয়ে বাড়িতে নিয়ে আসেন। সাহায্য খোঁজতে থাকেন চতুর্দিকে ।
এক পর্যায়ে ছাদিয়ার শিক্ষক ইসমাইল মাহমুদ ফিরোজ সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে একটি বিষয়টি নিয়ে লেখালেখি করেন। এরই পরই লিখেন বাহুবল প্রেসক্লাবের কার্যকরি পরিষদের সদস্য টিপু সুলতান জাহাঙ্গীর। তারা দুজনেই বিভিন্ন স্তরে যোগাযোগ করে গত ২২ মে বিকালে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। তখন তারা ছাদিয়ার পিতার হাতে তুলে দেন নগদ ৯ হাজার টাকা। যা চিকিৎসার জন্য সত্যিই অপ্রতুল। ছাদিয়াকে ভর্তি করা হয় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের বার্ণ ইউনিটে। ৪র্থ তলার ১০ নাম্বার বেডে (ওয়ারেন্ট সি ইউনিট) আছেন ছাদিয়া। তার পিতা ঢাকা থেকে টাকার জন্য তাগদা দিচ্ছেন তাদেরকে। তিনি বলছেন দুই লক্ষ টাকার জন্য আমার মেয়েকে বাঁচাতে পারছি না। ‘মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য, একটু সহানুভূতি কি মানুষ পেতে পারে না,। আমরা কি পারিনা ছাদিয়ার পাশে দাড়িয়ে আগুনে পুড়া ছাদিয়াকে চিৎিসার মাধ্যমে বাঁচিয়ে আনতে। পবিত্র রমজান মাসে আমরা যাকাত দেই, পারি না যাকাতের একটি অংশ ছাদিয়াকে দিতে। সাহায্য পাঠাতে যোগাযোগ করুন সাংবাদিক টিপু সুলতান জাহাঙ্গীর (০১৭৩৪ ০০৪০৪০), ছাদিয়ার শিক্ষক ইসমাঈল মাহমুদ ফিরোজ (০১৭২০ ৩২৮৪৫০)।