রবি ঠাকুরের প্রথম প্রেম
আত্মারাম পান্ডুরাং নামে এক ভদ্রলোক তিনি বোম্বাই এলাকায় ধর্ম আর সমাজ সংস্কারকরূপে খুব নাম করেছিলেন। তার ছিল তিন কন্যা।
আনা, দূর্গা আর মারিক।
সম্পর্কিত খবর
আত্মারাম সে যুগে দাঁড়িয়েও তার মেয়েদের উচ্চ শিক্ষিত করেছিলেন। বিলেত থেকে পড়াশুনা করেছিলেন তার মেয়েরা।
এনাদের মধ্যে আনা দায়িত্ব পেলেন, আত্মারামের পরিচিত এক ভদ্রলোকের ছেলেকে পড়ানোর।
যে কিশোরকে পড়ানোর দায়িত্ব পেলেন আনা, সেই কিশোরের পড়াশুনার থেকে কবিতা লেখার বেশি মতি। সমবয়েসি স্টুডেন্ট এর কাছ থেকে আনা শোনেন বিভিন্ন কবিতা, তারই লেখা এবং তার ইংরেজি অনুবাদ।
নিজের কবিতার ইংরেজী অনুবাদ শুনিয়ে তার টিচারকে বেশ ইমপ্রেস করে ফেললেন কিশোরটি।
দুই প্রায় সমবয়স্ক, সমমনষ্ক মানুষের মধ্যে শুরু হয়ে গেল একটা অলিখিত প্রেম।
আনা ঐ কিশোরের কাছে আবদার করলেন- তাকে একটা ডাকনাম দিতে হবে। বেশ খানিকটা ভেবে চিন্তে আনার জন্য একটা বাংলা নাম বাছলেন সেই কিশোর।
হৃদয়ের এতটা কাছ থেকে বাছাই করা সেই নাম ভালোবাসার অভিজ্ঞানের মত আনার সঙ্গে জড়িয়ে তো রইলোই, তারই সঙ্গে সঙ্গে সেই কিশোর তার বহু লেখা, বহু গান, বহু কবিতায় সেই নামটাকে রেখে দিলেন খোদাই করে-
সেদিনকার সেই কিশোর, আনার নাম দিয়েছিলেন “নলিনী”...
আনার পুরো নাম- আন্না তাড়খাড়।
সেই আন্না তাড়খাড়, যাকে বলা হয় রবি ঠাকুরের প্রথম প্রেম...
হ্যাঁ...সেদিনের সেই কিশোর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরযিনি নলিনীর নামে লিখেছিলেন সেই অমর গান-
শোন নলিনী, খোল গো আঁখি, ঘুম এখনও ভাঙ্গিল নাকি?
দেখো তোমার দুয়ারো পরে সখি, এসেছে তোমারই রবি...লেখক ও এক্টিভিস্ট: শাহ্ আলম