বিবস্ত্র অবস্থায় ৩৬ ঘণ্টা আটকে রাখা হয় যৌনকর্মীদের
রাশিয়ায় ফুটবল বিশ্বকাপ ঘিরে খেলা ছাড়াও বারবার খবরের শিরোনাম হচ্ছে যে বিষয়, সেটি হলো দেহব্যবসা। দেশটিতে এটি অবৈধ হলেও বিভিন্ন স্থানে প্রকাশ্যে, গোপনে রয়েছে যৌনপল্লী। সপ্তাহখানেক আগে রাশিয়া পাঠানোর চেষ্টাকালে ১০ নাইজেরীয় শিশুকে উদ্ধার করেছে কর্তৃপক্ষ।
রাশিয়ার যৌনকর্মীদের নিয়ে যখন কথা উঠে তখনই চলে আসে ২০১৬ সালের একটি ঘটনা। দুই বছর আগের এই ঘটনায় খাবার ও পোশাক ছাড়া আটকে রাখা হয় ১০ যৌনকর্মীকে।
সম্পর্কিত খবর
বিদেশি গণমাধ্যমে খবর, ওই সময় কিছু পুরুষ একটি পতিতালয়ে ঢুকে ভাঙচুর করে। এরপর তারা সেখান থেকে ১০ যৌনকর্মীকে পুরো নগ্ন করে রাস্তায় হাঁটিয়ে থানায় নিয়ে যায়। এরপর পুলিশ স্টেশনে ওই নাীদের খাদ্য, পানি ও পোশাক ছাড়া ৩৬ ঘণ্টা আটকে রেখেছিল পুলিশ।
১৫ বছর ধরে রাশিয়ায় পতিতাবৃত্তিকে অপরাধের বাইরে রাখার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন ইরিনা মাসলোভা নামের নারী। তিনি বলেন, যেহেতু যৌনকর্ম কোনো নিয়মিত পেশা বা নিয়ন্ত্রিত পেশা নয় তাই এ জন্য এ পেশায় নিয়োজিতদের জন্য স্বাস্থ্যসেবায় ঘাটতি আছে। খদ্দেররা কনডম ব্যবহার করতে চান না। এ জন্য তাদের বিরুদ্ধে কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয় না। তাই দেশের বাকি অংশের চেয়ে এ পেশায় লিপ্তদের মধ্যে এইচআইভিতে সংক্রমণের হার ১০ থেকে ১৪ গুণ বেশি। সরকারের অনুপস্থিতিতে তাদের কাছে শেষ আশ্রয় হিসেবে এগিয়ে যান কিছু স্বেচ্ছাসেবী সেবাদানকারী।
-একে