‘হিন্দুদের ওপর হামলা বরদাস্ত করা হবে না বলে জানিয়েছে হাসিনা সরকার’
বাংলাদেশে হিন্দুদের সংখ্যা বেড়েছে। গত কয়েক বছরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী তা ২ শতাংশ বেড়েছে। বৃহস্পতিবার ভারতের রাজ্যসভায় প্রশ্নোত্তরপর্ব চলার সময় লিখিতভাবে একথা জানান ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ।
তাঁর দাবি, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে সংখ্যালঘু সমস্যা সম্পর্কে ভারত সরকার অবগত। বাংলাদেশ সরকার নিশ্চিত করেছে, সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণের ঘটনা কড়া হাতে দমন করা হবে। একই প্রতিশ্রুতি দিয়েছে আফগানিস্তানও।
সম্পর্কিত খবর
পাকিস্তানে সংখ্যালঘু নিগ্রহ নিয়ে জাতিসংঘেও সরব হয়েছে ভারত। পাশাপাশি রাজ্যসভার প্রতিনিধিদের এদিন ভারতের নাগরিকত্ব আইন সংশোধন বিলে সম্মতি জানানোর অনুরোধও জানিয়েছেন সুষমা স্বরাজ।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য, বাংলাদেশ ব্যুরোর তথ্যের ভিত্তি অনুসারে, বাংলাদেশে ২০১১ সালে ৮.৪ শতাংশ হিন্দুর বাস ছিল। ?২০১৭ সালে তা বেড়ে হয়েছে ১০.৭ শতাংশ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে ঠিকই, তবে বাংলাদেশ সরকার এ ধরনের ঘটনা আটকাতে কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে। এ সব বরদাস্ত করা হবে না বলে সাফ জানিয়েছেন শেখ হাসিনার সরকার।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও রংপুরে দুটি হামলার কথা উল্লেখ করে সুষমা বলেন, প্রথম ক্ষেত্রে ৬৭ জনকে জেল হেফাজতে রাখা হয়েছে। রংপুরেও উসকানিদাতারা জেলেই রয়েছে। দুটি মামলাই বিচারাধীন।
পাকিস্তান থেকে অত্যাচারিত সংখ্যালঘুরা শরণার্থী হিসেবে ভারতে প্রবেশ করছেন, এ দাবি মেনে নিয়েছেন তিনি। বলেছেন, বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের বিবেচনাধীন হলেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দায়িত্ব এড়াচ্ছে না।
শরণার্থী সংখ্যালঘুদের যাতে দ্রুত নাগরিকত্ব দেওয়া যায়, সেজন্যই রাজ্যসভার সাংসদদের নাগরিকত্ব আইন সংশোধন বিলে সম্মতি জানানোর আর্জি জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। লোকসভায় ইতিমধ্যেই সংখ্যাগরিষ্ঠের ভোটে বিলটি পাশ হয়েছে। রাজ্যসভার সম্মতি পেলেই বিলটি আইনে পরিণত হতে পারে।