• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

আত্মহত্যা নয়, পরিকল্পিত হত্যার শিকার সানজিদা!

প্রকাশ:  ২০ জুলাই ২০১৮, ২০:০৬
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর যাত্রাবাড়িতে ১০ বছরের শিশু সানজিদা আক্তার আত্মহত্যা করেনি; তাকে পরিকল্পিত হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার প্রায় তিন মাস পর ময়নাতদন্ত রিপোর্টে শ্বাসরোধে হত্যার আলামত পাওয়ার পর বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ।

শিশু মৃত্যু ঘটনার পর থেকেই সানজিদার স্কুল শিক্ষিকা সেটিকে আত্মহত্যা বলে প্রচার করে আসছিলেন। কিন্তু মেয়েটির পরিবারের দাবি, ধর্ষণের পর হত্যা করে সানজিদার লাশ ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যার নাটক সাজান ওই দম্পতি।

অবশেষে সানজিদাকে হত্যার অভিযোগে তার শিক্ষিকা নুসরাত জাহান মনি ও স্বামী মোরশেদ আলমকে গ্রেপ্তার করেছে যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ। তারা এখন থানা হাজতে রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৯ জুলাই) রাতে নুসরাতের বাসা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী ওয়াজেদ আলী জানান, উত্তর যাত্রাবাড়ীর স্কুল শিক্ষিকা নুসরাত বিবির বাগিচা এলাকায় স্বপরিবারে থাকেন। ওই এলাকার অনেক শিশুকে পড়ান তিনি। সানজিদাও ওই বাসায় গিয়ে পড়তো। গত ২১ এপ্রিল নুসরাতের বাসায় অন্য শিশুদের সঙ্গে পড়তে যায় সানজিদা। ওই দিন নুসরাতের বেডরুমের ফ্যানে ঝুলন্ত অবস্থায় সানজিদার লাশ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ পাঠানো হয় মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে।

ময়নাতদন্ত শেষে গত ২৩ এপ্রিল সানজিদার লাশ তার বাবা গাড়িচালক মো. শাহজাহান ও মা জান্নাতি বেগম গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে নিয়ে যায়। সেখানেই লাশ দাফন করা হয়।

ওসি ওয়াজেদ আরও জানান, সানজিদার পরিবার প্রথম থেকেই হত্যার অভিযোগ আনলেও নুসরাত ও তার স্বামী মোরশেদ দাবি করেন, সানজিদা খেলতে গিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে ফাঁস লেগে মারা যায়।

গত বৃহস্পতিবার সানজিদার লাশের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট যাত্রাবাড়ী থানায় পৌঁছায়। এতে শ্বাসরোধে হত্যার আলামত মিললে ওই দম্পতিকে তাদের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছিল। এখন সেটি হত্যা মামলা হিসেবে রূপান্তরিত হবে। ধর্ষণের বিষয়ে ফরেনসিক রিপোর্ট আসার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও ওসি কাজী ওয়াজেদ আলী জানান।

আত্মহত্যা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close