• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

পশুর চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ সোয়া ১ কোটি টাকা

প্রকাশ:  ১৯ আগস্ট ২০১৮, ১৭:২৩
বিজনেস ডেস্ক

আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে প্রতিবছর কোরবানের পশুর চামড়ার মূল্য নির্ধারণের সাথে সাথে নতুন কাঁচা চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ব্যবসায়ীরা। তবে ব্যবসায়ীদের ধারণা এবার অন্যান্য বছরের তুলনায় নির্বাচনী বছরে কমপক্ষে ২০ থেকে ৩০ লাখ পশু বেশি জবাই হবে এমটাই ধারণা চামড়া ব্যবসায়ীদের। এবং সাথে সাথে পশুর চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রাও বেশি নির্ধারণ করা হয়েছে। এদিকে এক কোটি ২৫ লাখ গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়ার কাঁচা চামড়া সংগ্রহে প্রস্তুতি নিচ্ছেন ট্যানারি মালিক, ফড়িয়া ও আড়তদাররা।

রাজধানীর লালবাগ, পোস্তগোলা ও হাজারীবাগের বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও ট্যানারি মালিকদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, সব সময় নির্বাচনী বছরে কোরবানির সংখ্যা বেড়ে যায়। এবারও বাড়বে। তাই পশুর চামড়া কেনা ও প্রক্রিয়াকরণের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ী আড়ৎদাররা। তবে অর্থ সঙ্কটের কারণে এবার চামড়া সংগ্রেহে সমস্যা হবে বলে জানিয়েছেন তারা।

বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (বিএইচএসএমএ) সভাপতি হাজী মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। তাই ভোটার তুষ্টিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা এবার ঈদে বেশি করে পশু কোরবানি দেবেন। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ২০ থেকে ৩০ লাখ পশু বেশি কোরবানি হবে আশা করা হচ্ছে। গত বছর এক কোটির মতো পশু কোরবানি হয়েছিল। এবার সোয়া কোটির বেশি পশু কোরবানি হবে। এটি মাথায় রেখেই চামড়া কেনার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, সারা বছরের প্রায় ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ চামড়া কোরবানির ঈদে সংগ্রহ হয়। এ বছর আড়াই থেকে তিন হাজার কোটি টাকার কাঁচা চামড়া কেনাবেচা হবে। ট্যানারি মালিকরা ব্যাংক ঋণের সুবিধা পায়। আমরা কিছুই পাই না। নিজের টাকায় ও ধার দেনা করে ব্যবসা করি।

অর্থ সঙ্কটে চ্যালেঞ্জের মধ্যে রয়েছে উল্লেখ করে কাঁচা চামড়ার এ আড়তদার বলেন, এখন পর্যন্ত ট্যানারির মালিকরা আমাদের পাওনা টাকা দেননি। আগামী দুই দিনের মধ্যে ট্যানারিগুলো অর্থ না দিলে নগদ টাকার অভাবে চামড়া কেনা যাবে না। আর এ সময়ে যদি অর্থের অভাবে চামড়া সংগ্রহ না করতে পারি তাহলে চামড়া পাচার হয়ে যাবে।

কাঁচা চামড়ার ব্যবসার সঙ্গে সারাদেশে প্রায় তিন লাখ লোক জড়িত উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের ব্যবসায় সমস্যা হলে এসব লোক ক্ষতিগ্রস্থ হবে। তাই চলমান অর্থ সঙ্কট মেটাতে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়ার অনুরোধ করেন তিনি।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, পবিত্র ঈদুল আজহায় দেশে কোরবানিযোগ্য গবাদিপশুর সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ১৬ লাখ। এর মধ্যে গরু ও মহিষ ৪৪ লাখ ৫৭ হাজার এবং ছাগল ও ভেড়ার সংখ্যা ৭১ লাখ। গত বছর গবাদিপশুর সংখ্যা ছিল প্রায় ১ কোটি ৪ লাখ ২২ হাজার।

ওএফ

চামড়া,লক্ষ্যমাত্রা,নির্ধারণ,কোরবান
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close