• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

রফতানি আয়: প্রথম মাসে আশার প্রদীপ জ্বালিয়ে দ্বিতীয় মাসেই হোঁচট

প্রকাশ:  ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৭:১৯ | আপডেট : ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৭:২০
বিজনেস ডেস্ক

রফতানি আয়ে আশার প্রদীপ জ্বালিয়ে নতুন অর্থবছর শুরু হলেও দ্বিতীয় মাস আগস্টে এসেই হোঁচট খেতে হলো। প্রথম মাস জুলাইয়ে প্রায় ২০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হলেও আগস্টে উল্টো কমে গেছে প্রায় ১২ শতাংশ।

মঙ্গলবার (১১ সেপ্টেম্বর) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রকাশিত পরিসংখ্যানে এসব তথ্য জানা গেছে।

প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সহ-সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, জুলাইয়ে অতিরিক্ত প্রবৃদ্ধি হওয়ার কারণ হলো- তার আগের মাসে ঈদের ছুটি থাকায় রফতানি কম হয়েছিল, যা জুলাইয়ের নিয়মিত রফতানির সঙ্গে যুক্ত হয়। ফলে প্রায় ২০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছিল। ঠিক একই কারণে আগস্টে রফতানি কমে গেছে। এ মাসের শেষ ১০-১২ দিন কারখানাগুলো বন্ধ ছিল কোরবানির ঈদের কারণে। চলতি মাস সেপ্টেম্বরের শুরুতেও কয়েকদিন কারখানা বন্ধ ছিল। অর্থাৎ অক্টোবরের রফতানি আয় দেখেই আসলে বোঝা যাবে কোন দিকে যাচ্ছি আমরা।

আগের বছরের ধীর প্রবৃদ্ধির কারণে এ বছর রক্ষণশীল লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। গত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে রফতানি হয়েছিল ৩ হাজার ৬৬৬ কোটি ৮১ লাখ মার্কিন ডলারের পণ্য। আর চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে পণ্য রফতানি থেকে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৯০০ কোটি ডলার।

ইপিবির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত দুই মাসের (জুলাই-আগস্ট) মাসে রফতানি আয়ের টার্গেট ছিল ৬৫৮ কোটি ২০ লাখ ডলার। আয় হয়েছে ৬৭৯ কোটি ৫০ লাখ ডলার। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রা থেকে আয় বেশি হয়েছে ৩.২৪ শতাংশ। গত অর্থবছরের একই সময়ে আয় হয়েছিল ৬৬২ কোটি ডলার। অর্থাৎ এ দুই মাসে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২.৫১ শতাংশ। অথচ এ বছর শুধু জুলাই মাসে প্রবৃদ্ধি হয় ১৯.৮৮ শতাংশ।

এর কারণ, আগস্টে রফতানি থেকে আয় হয় ৩২১ কোটি ৩৫ লাখ ডলার। যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১১.৭৪ শতাংশ কম। আগের বছর আগস্ট মাসে রপ্তানি হয়েছিল ৩৬৪ কোটি ডলারের পণ্য।

বাংলাদেশের রফতানি আয়ের সিংহভাগ আসে তৈরি পোশাক থেকে। গত দুই মাসে পোশাকখাত থেকে রফতানি আয় হয়েছে ৫৭৩ কোটি ৫১ লাখ ডলার। যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩.৮২ শতাংশ বেশি।

এর মধ্যে নিট পোশাক রফতানি হয়েছে ২৯১ কোটি ২৮ লাখ ডলারের। যা আগের বছরের তুলনায় ১.৫৩ শতাংশ বেশি। আর ওভেন পোশাক রফতানি হয়েছে ২৮২ কোটি ২২ লাখ মার্কিন ডলারের। যা আগের বছরের তুলনায় ৬.২৮ শতাংশ বেশি।

এছাড়া চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রফতানি কমেই চলেছে। গত দুই মাসে এ পণ্য বিক্রি করে বাংলাদেশের আয় হয়েছে ১৮ কোটি ৩০ লাখ ডলার। যা আগের বছরের চেয়ে ২৬.২৬ শতাংশ কম। আর শুধু চামড়া রফতানির অবস্থা আরো করুণ। গত দুই মাসে আয় হয়েছে ২ কোটি ২৪ লাখ ডলার। অথচ গত বছর এই সময়ে আয় হয়েছিল ৩ কোটি ৩২ লাখ ডলার। অর্থাৎ এ পণ্য থেকে আয় কমেছে ৩২.৪২ শতাংশ।

ওএফ

রফতানি আয়,ইপিবি
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close