• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের ২১ কোটি টাকা বৃত্তি দিয়েছে ভারত

প্রকাশ:  ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ২০:৩৬ | আপডেট : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ২০:৫৯
নিজস্ব প্রতিবেদক

ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা জানিয়েছেন, ১২ হাজারের বেশি মুক্তিযোদ্ধা সন্তানকে ২১ কোটি টাকা শিক্ষা বৃত্তি দিয়েছে তার দেশ। মুক্তিযোদ্ধা স্কলারশিপ প্রকল্পের আওতায় ২০০৬ সাল থেকে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা এই সুবিধা পাচ্ছেন বলে জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সিলেটে ভারতীয় হাইকমিশনের উদ্যোগে সিলেট বিভাগ ও কিশোরগঞ্জ জেলার ২ হাজার ১৬ জন মুক্তিযোদ্ধা সন্তানের হাতে স্কলারশিপের চেক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ তথ্য জানান।

হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের দুই দেশের এক পবিত্র বন্ধন। এই মহান জাতির পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার জন্য তারা মুক্তিযুদ্ধের সময় চরম কষ্ট সহ্য করেছেন। বর্তমান ও পরবর্তী প্রজন্ম তাদের অবদানের প্রতি চিরঋণী।

তিনি বলেন, এই ভূমির বীর ‘পুত্র-কন্যাদের’ আত্মদানকে স্বীকৃতি দেয় ভারত সরকার । ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা স্মরণে এবং দেশের একটি উন্নত ভবিষ্যতের লক্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের অমূল্য অবদানকে সম্মান জানাতে কয়েকটি কল্যাণমূলক উদ্যোগ এবং প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পগুলো হলো, সকল মুক্তিযোদ্ধার জন্য পাঁচ বছরের মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা, অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধাদের ভারতে সশস্ত্র বাহিনীর হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসা, নতুন মুক্তিযোদ্ধা সন্তান বৃত্তি প্রকল্প।

ভারতীয় রাষ্ট্রদূত বলেন, ভারত সরকার ২০০৬ সালে প্রথম মুক্তিযোদ্ধা বৃত্তি প্রকল্পটি চালু করেছিল এবং ২০১৭ সালে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নতুন প্রকল্পের ঘোষণা দেন। এই প্রকল্পগুলো একত্রিত হলে, ভারত সরকারের মোট ৫৬ কোটি টাকা ব্যয় করবে। ভারত সরকার স্নাতক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে অধ্যয়নরত মুক্তিযোদ্ধা উত্তরাধিকারীদের শিক্ষা সহায়তা হিসেবে বৃত্তি প্রদান করে। এ বৃত্তি প্রকল্প থেকে ২১ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী সরাসরি উপকৃত হয়েছে।

ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দু’দেশের সম্পর্কে উচ্চতর পর্যায়ে দাঁড় করিয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, গত ১০ সেপ্টেম্বর ভারত ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী যৌথভাবে কুলাউড়া-শাহবাজপুর বিভাগের রেলপথের পুনঃনির্মাণে কাজের উদ্বোধন করেন। এই রেলপথ পুনঃস্থাপনে আসামের করিমগঞ্জ জেলার সঙ্গে এবং ভারতের অন্যান্য উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোকে সরাসরি সংযুক্ত করবে।

এসময় তিনি সিলেটে সহকারী হাইকমিশন অফিস চালুর কথা উল্লেখ করে বলেন, আগামী ৩ থেকে ৪ দিনের মধ্যে সহকারী হাইকমিশনের কাজ শুরু হবে। এতে সিলেটবাসীকে দ্রুত ভিসা প্রদান করা সম্ভব হবে।

হর্ষবর্ধন শ্রিংলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close