• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

পাথরঘাটায় তরুণী ধর্ষণ ও হত্যা : ছাত্রলীগ নেতাসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র

প্রকাশ:  ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ২২:১৭
বরগুনা প্রতিনিধি

বরগুনার পাথরঘাটায় এক তরুণীকে গণধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায়, বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেতাসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ। এর মধ্যে পাঁচজন কারাগারে ও দুজন পলাতক রয়েছেন। জেলার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আজ এ অভিযোগপত্র জমা দেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। এতে আসামি করা হয়েছে পাথরঘাটা উপজেলার ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সহসম্পাদক মাহমুদ, পাথরঘাটা ডিগ্রি কলেজের সাবেক সভাপতি রুহি আনাল দানিয়াল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মহিদুল ইসলাম রায়হান, আল আমিন, সোহাগ ও কলেজের নৈশপ্রহরী জাহাঙ্গীর।

গত বছরের ১০ অগাস্ট এক অজ্ঞাত তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে কলেজের নৈশপ্রহরীকে গ্রেফতারের পর গণধর্ষণের শেষে ওই তরুণীকে হত্যার বিষয়টি জানতে পারে পুলিশ। থানা পুলিশ ও আদালতের দেওয়া জবান বন্দি থেকে জানা যায়, পাথরঘাটা জেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক মো. মঞ্জুরুল ইসলামের কাছে গত ১১ ও ১২ নভেম্বর ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবান বন্দি দেন জাহাঙ্গীর হোসেন ও মাহমুদুর রহমান।

এতে তারা জানান, ঘটনার দিন গভীর রাতে উপজেলা ছাত্রলীগের এক নেতার মটর সাইকেলে করে সাদ্দাম হোসেন ও রুহি আনান দানিয়াল মেয়েটিকে কলেজের পেছনের পুকুরের ঘাটে নিয়ে আসে। পরে একটি মটর সাইকেলে করে মাহিদুল ইসলাম, মাহমুদুর রহমান ও সোহাগ আসেন। ছাত্রলীগের ৪ নেতা প্রথমে ধর্ষণ করে। পরে সোহাগও মেয়েটিকে ধর্ষণের চেস্টা করলে মেয়েটি লাথি মারে। এতে ক্ষুদ্ধ ছাত্রলীগের এক নেতা লাথি মারলে তরুণী শান বাঁধানো ঘাটলার মেঝেতে পড়ে গিয়ে অচেতন হন। বিষয়টি জাহাঙ্গীর টের পেয়ে কলেজের নৈশ প্রহরি ঘটনাস্থলে গেলে ছাত্রলীগ নেতারা জাহাঙ্গীরকে ভয় দেখিয়ে অচেতনাবস্থায় পুকুরের মধ্যে খুঁটি পুতে ওড়না দিয়ে মেয়েটিকে বেধে ডুবিয়ে রেখে উপরে কলমি লতার গাছ ফেলে চলে যায়। গত ১০ অগাস্ট খুটি বাধা অবস্থায় মেয়েটির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। মরদেহ উদ্ধারেরের ৯ থেকে ১০দিন আগে ঘটনা ঘটে বলে স্বীকারোক্তিতে উল্লেখ করা হয়।

পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় পুলিশ অজ্ঞাত ব্যাক্তিদের আসামী করে মামলা করে। ৩মাস পর গত ১০ নভেম্বর জাহাঙ্গীরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে অন্যদের গ্রেফতার করা হয়। জাহাঙ্গীর সম্প্রতি উচ্চ আদালত থেকে মুক্তি পেয়েছেন অন্য চার ছাত্রলীগ নেতা কারাগারে আছেন। তবে সোহাগের পরিচয় সনাক্ত হয়নি এবং আল আমিন পলাতক রয়েছে।

বর্তমান জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক বশির উদ্দিন মামলাটির তদন্ত শেষে বৃহষ্পতিবার দুপুরে সাতজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। অজ্ঞাত ব্যক্তি সোহাগ ও তরুনীর পরিচয় সনাক্ত না হওয়া প্রসঙ্গে তদন্ত কর্মকর্তা বশির উদ্দিন বলেন, আমরা পরিচয় সনাক্তের চেষ্টা করছি।

-একে

ধর্ষণ
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close