রংপুরে পিপি হত্যাকাণ্ডের চার্জশিট
পরকীয়া প্রেমের কারণেই হত্যা করা হয় বাবুসোনাকে
রংপুরের বিশেষ জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আইনজীবী রথীশ চন্দ্র ভৌমিক বাবুসোনা (৫৮) হত্যা মামলায় স্ত্রী স্নিগ্ধা সরকার দীপা ও তার প্রেমিক কামরুল ইসলামকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ। ১৩ সেপ্টেম্বর অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রংপুর কোতোয়ালি থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক আল-আমিন।
সোমবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান তার কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
সম্পর্কিত খবর
পুলিশ সুপার বলেন, মূলত পরকীয়া প্রেম, পারিবারিক অশান্তি ও বিদ্বেষ থেকে বাবুসোনাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন স্ত্রী স্নিগ্ধা সরকার দীপা এবং তার প্রেমিক কামরুল ইসলাম। আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে দুজনই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছেন। হত্যাকাণ্ডে দুই কিশোর সবুজ ও রোকনের সম্পৃক্ততা না থাকায় এবং মিলন মোহন্ত মারা যাওয়ায় তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। দীপা ও কামরুল বর্তমানে কারাগারে। বাবুসোনাকে খাওয়ানো ঘুমের ওষুধের দোকান শনাক্ত, তাঁর মরদেহ বহনের কাজে ব্যবহৃত ভ্যান, আলমারিসহ অন্যান্য আলামত জব্দ করা হয়েছে বলেও জানান পুলিশ সুপার।
তিনি আরও জানান, এই মামলায় ৮০০ পৃষ্ঠার বেশি নথিপত্র আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। পাঁচ মাস ১২ দিনের মাথায় চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। দুই সপ্তাহ আগে বাবুসোনার ডিএনএ টেস্টের রিপোর্ট হাতে পাওয়া গেছে। তবে হত্যাকাণ্ডের দুই সপ্তাহের মধ্যেই ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়া যায়। এই মামলায় মোট ৪০ জন সাক্ষী রয়েছে। বাবুসোনার অর্থবিত্ত ও পরকীয়া প্রেমের কারণেই তাঁকে হত্যা করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৯৯৪ সালে একই দিনে তাজহাট উচ্চ বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন কামরুল ও বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আইনজীবী রথীশ চন্দ্র ভৌমিকের স্ত্রী স্নিগ্ধা সরকার দীপা। কিছুদিন পরই দীপার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে নানা কৌশলের আশ্রয় নেন কামরুল। স্কুলের যাবতীয় দাপ্তরিক কাজে দীপাকে সহায়তা করতে থাকেন তিনি। বিনিময়ে দীপা বাড়ি থেকে কামরুলের জন্য খিচুড়ি, পায়েসসহ ফলমূল এনে তাকে খাওয়াতেন।
/এসএম