চাকরি না পেয়ে খুবি ছাত্রের আত্মহত্যা!
চাকরি না পাওয়ার হতাশা থেকে সুইসাইড নোট লিখে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন খুলনা বিশ্বদ্যিালয়ের শিক্ষার্থী সৈকত রঞ্জন মন্ডল। সৈকত ০৯-১০ শিক্ষাবর্ষের ফিশারিজ এন্ড মেরিন রিসোর্স টেকনোলজির ছাত্র ছিলেন।
শুক্রবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে খুবির খাজা গেটের পূর্ব দিকের ইসলামনগর জামে মসজিদ গলির একটি দোতলা ভবনের মেছে থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
সম্পর্কিত খবর
সৈকতের বাবার নাম কৃষ্ণ মন্ডল, মায়ের নাম রানী মন্ডল। গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার রমজাননগর ইউনিয়ন।
পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানান, সৈকতের পাশের ভবনের প্রতিবেশী জানালা দিয়ে ফ্যানের সঙ্গে একজনকে ঝুলতে দেখেন। তিনি বিষয়টি আশপাশে মানুষকে জানালে সৈকতের রুমমেট, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের উপস্থিতিতে দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। এ সময় তারা সৈকতকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। এ সময় তার ডায়রিতে লেখা একটি নোট পাওয়া গেছে।
পরে সৈকতকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তার রুম থেকে উদ্ধার হওয়া ডায়েরীর একটি পাতায় লেখা রয়েছে- অনেক স্বপ্ন ছিল চাকরি করে মার মুখে হাসি ফোটাবো। কিন্তু সব এলোমেলো হয়ে গেল। মার শরীর খুব খারাপ। তবুও আমি খুলনা থেকে পড়ার কথা ভাবছি। বাড়িতে যেতে গেলে সবকিছু নিয়ে যেতে হবে। তাছাড়া আর কোন উপায় নেই। না আছে টিউশনি যার উপর নির্ভর করে খুলনাতে চলতেছিলাম। আজ এতো কঠিন অবস্থা তৈরি হয়ে গেলও। আমি শুধু বন্ধুরা কে কি করছে সেই দিকে খেয়াল করে চলছি। আমরা এক মেসে চার বন্ধু থাকতাম। এর মধ্যে আমার অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে গেছে। অন্য তিনজন চাকরি পেয়েছে। আসলে প্রত্যেকটি কাজ ছেড়ে দিয়ে বিসিএস এর দিকে যাওয়ায় হঠাৎ চাপ বেড়ে যায়। সে জন্য আমি আরও Abnormal Behaviour প্রদর্শন করছি। প্রজেক্টের কাজে চাপ থাকায় শরীরটা গড়তে পারিনি। সে জন্য অতিরিক্ত চাপ সহ্য হয়নি।
হরিনটানা থানার ওসি নাসির খান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্বার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সৈকতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সেখানে রয়েছে।
/পি.এস