• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

নিউইয়র্কে ‘নো মোর সিদ্দিক’ স্লোগানে উত্তাল শেখ হাসিনার সংবর্ধনাস্থল

প্রকাশ:  ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ২১:২১
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

নিউইয়র্কে ‘নো মোর সিদ্দিক’ স্লোগানে উত্তাল ছিল শেখ হাসিনার সংবর্ধনাস্থল। নিউইয়র্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘প্রবাসী নাগরিক সংবর্ধনা’ শীর্ষক সমাবেশের সভাপতি তথা যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমানকে সরিয়ে নতুন কমিটির দাবিতে নেতাকর্মীদের মুখে এ স্লোগান শোনা গেছে বারবার।

যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ এই সংবর্ধনার আয়োজন করে। সংগঠনের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবদুস সামাদ আজাদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ এম মাহমুদ আলী, আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী আবদুস সোবহান গোলাপ।

সম্পর্কিত খবর

    সংবর্ধনায় নিউইয়র্ক, নিউজার্সি, পেনসিলভানিয়া, কানেকটিকাট, বোস্টন, ওয়াশিংটন মেট্রো, ভার্জিনিয়া, ফ্লোরিডা, জর্জিয়া, মিশিগান, লস অ্যাঞ্জেলেস, শিকাগোসহ বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য থেকে নেতা-কর্মীরা যোগ দেন। সমাবেশে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ, মহিলা লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীসহ বিপুলসংখ্যক প্রবাসী উপস্থিত ছিলেন। নেতা-কর্মীরা স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত রাখেন পুরো হল। বিভিন্ন স্লোগানের পাশাপাশি ‘নো মোর সিদ্দিক’ স্লোগানটি উচ্চারিত হয় বারবার ।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাত প্রায় সাড়ে আটটায় সমাবেশস্থলে উপস্থিত হলে উৎফুল্ল নেতা-কর্মীরা মুহুর্মুহু স্লোগানে তাঁকে বরণ করে নেন। তিনি বক্তব্যের শুরুতেই স্মরণ করেন ১৫ আগস্ট নৃশংসভাবে নিহত বঙ্গবন্ধু, বঙ্গমাতা ও অন্য শহীদদের; জাতীয় চার নেতাকে ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত লোকজনকে। তিনি বলেন, ‘জাতির জনক তাঁর পুরো জীবন মানুষের জন্য উৎসর্গ করেছেন। তিনি একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। বিশ্বে বাংলাদেশকে মর্যাদার আসনে বসিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি সেই কাজ সমাপ্ত করতে পারেননি। বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা বুকের তাজা রক্ত দিয়ে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ দিয়ে গেছেন। তাঁকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। আমরা দুই বোন বাইরে ছিলাম বলে বেঁচে যাই। আর সবাইকে হারিয়েছিলাম। আমরা ছয় বছর দেশের বাইরে ছিলাম। ১৯৮১ সালে আমি বিদেশে থাকা অবস্থায় আমাকে আওয়ামী লীগের সভাপতি করা হয়। আমি মানুষের ভালোবাসায় দেশে ফিরে আসি। স্বাধীনতাবিরোধীরা ক্ষমতায় এসেছিল। মন্ত্রী হয়েছিল।’

    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close