বাড়ি থেকে পালিয়ে গণধর্ষণের শিকার কিশোরী
সুনামগঞ্জে জেলার জগন্নাথপুরে ১৪ বছরের এক কিশোরীকে রাতভর ধর্ষণ করা হয়েছে। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় জগন্নাথপুর থানা পুলিশ বুধবার (১০ অক্টোবর) বিকেলে ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে দুই জনকে গ্রেফতার করেছে।
সম্পর্কিত খবর
গ্রেফতারকৃতরা হলো জগন্নাথপুর পৌর এলাকার ইকড়ছই গ্রামের মিনিবাস চালক আইনুল হক ও জগন্নাথপুর গ্রামের বাসস্ট্যান্ড ম্যানেজার বুরহান উদ্দিন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, বিশ্বনাথ উপজেলার সেনারগাঁও গ্রামের ওই কিশোরী মা ও বড় বোনের সাথে রাগ করে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। সে মিনিবাসে ওঠে জগন্নাথপুর উপজেলা সদরে গিয়ে নামে।
পরে উপজেলার একটি গ্রামে তার ফুফুর বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রিকশাযোগে সুনামগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় যায় সে। সেখানে দীর্ঘক্ষণ একটি দোকানের সামনে বসে থাকতে দেখে দোকান মালিক মেয়েটির বাড়ি কোথায় জানতে চাইলে সে রাগ করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসার কথা জানায়।
পরে ওই দোকান মালিক মেয়েটির কাছ থেকে তার মায়ের নাম্বার সংগ্রহ করে ফোন দিলে তিনি মেয়েটিকে গাড়িতে তুলে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়ার অনুরোধ করেন। এ সময় দোকানে থাকা মিনিবাস চালক আইনুল হক ওই কিশোরীকে বিশ্বনাথের গাড়িতে তুলে দেয়ার কথা বলে সাথে নিয়ে যায়।
কিন্তু আইনুল ওই কিশোরীকে গাড়িতে তুলে না দিয়ে স্থানীয় বাসস্ট্যান্ডের ম্যানেজার বুরহান উদ্দিনের বাড়ি জগন্নাথপুর গ্রামে জিতু মিয়ার কলোনিতে নিয়ে আটকে রাখে। সেখানে রাতভর ওই কিশোরীকে আরো দুই সহযোগিসহ ধর্ষণ করে পালিয়ে যায় তারা।
বুধবার সকালে রক্তাক্ত অবস্থায় মেয়েটি জগন্নাথপুর থানায় গিয়ে পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করে। পরে অভিযান চালিয়ে দুই ধর্ষককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গ্রেফতার অভিযানে থাকা জগন্নাথপুর থানার সাব-ইন্সপেক্টর লুৎফুর রহমান জানান, অভিযান চালিয়ে দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এ দুজন ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। ঘটনায় সম্পৃক্ত আরো দুই জনকে ধরতে আমরা অভিযান অব্যাহত রেখেছি।
জগন্নাথপুর থানার পরির্দশক (তদন্ত) নব গোপাল দাশ বলেন, ধর্ষিতা কিশোরী মেয়েটিকে চিকিৎসা ও ডাক্তারি রিপোর্টের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে