অন্তঃস্বত্তা স্ত্রীর সেবায় শিশু অপহরণ!
পটুয়াখালীর দশমিনা থেকে আয়েশা নামে ১২ বছরের এক অপহৃত শিশুকে রাজধানী ঢাকা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
অপহরণের ৩৫ দিন পর গত বৃহস্পতিবার মুগদাপাড়া থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।
সম্পর্কিত খবর
জানা গেছে, অন্তঃস্বত্তা স্ত্রীর সেবা করার জন্য শিশুটিকে অপহরণ করেছিলেন এক কবিরাজ।
এ ঘটনায় অপহরণকারী কবিরাজ হারুনকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার (১৩ অক্টোবর) সকালে জেলা পুলিশ সুপার মোহম্মদ মইনুল হাসান সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
ঘটনার বিবরণ দিয়ে পুলিশ সুপার জানান, গত ৮ সেপ্টম্বর দশমিনা উপজেলা চাঁনপুরা বাসিন্দা মো. সাইফুল ইসলামের স্কুল পড়ুয়া মেয়ে আয়েশা আক্তার মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয়। এ ঘটনার পর আয়েশার বাবা সংশ্লিষ্ট থানায় একটি জিডি করেন।
সংবাদ সম্মেলে জানানো হয়, ২৮ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও আয়েশার খোঁজ না পেয়ে তার বাবা দশমিনা থানায় নারী ও শিশু দমন নির্যাতন আইনে একটি মামলা করেন। এরপর পুলিশের কয়েকটি দল অনুসন্ধান শুরু করে।
পুলিশ সুপার জানান, এ ঘটনায় পুলিশ হারুন নামে এক কবিরাজকে সন্দেহ করে। কবিরাজ হারুন ঠিকানাবিহীন হওয়ায় পুলিশ রাজবাড়ী, ফরিদপুর, মাদারীপুরসহ আটটি জেলায় অভিযান চালায়। কিন্তু আয়েশার সন্ধান মেলেনি।
মইনুল হাসান জানান, অনুসন্ধানের ৩৭ দিন পর গত বৃহস্পতিবার পুলিশ রাজধানীর মুগদাপাড়া থেকে আয়েশাকে উদ্ধার করে। এসময় অপহরণকারী কবিরাজ হারুনকে আটক করা হয়।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে একাধিক বিয়ে করা হারুন জানিয়েছেন, তার অন্তঃস্বত্তা স্ত্রী শাহনাজের সেবা করার জন্য আয়েশাকে তিনি অপহরণ করেছিলেন।
তবে শিশুটি যৌন হয়রানির শিকার হয়েছে কিনা সেজন্য মেডিকেল পরীক্ষাসহ প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সুপার আরও জানান, হারুন দীর্ঘদিন দশমিনা এলাকার গ্রামের সহজ সরল মানুষদের ঝাড়-ফুঁক দিয়ে চিকিৎসা চালিয়ে আসছিলেন। হারুনের বিভিন্ন স্থানে একাধিক স্ত্রী রয়েছে বলে জানা গেছে।