স্বেচ্ছায় যেতে চাওয়া রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বৃহস্পতিবার প্রথম দফায় প্রত্যাবাসনের দিন। প্রত্যাবাসনের জন্য বাংলাদেশ পুরোপুরো প্রস্তুত থাকার পরেও নানা অনিশ্চয়তার মধ্যে যাচ্ছে এই পক্রিয়া। তবে সকাল ১১ টার দিকে সাংবাদিকদের প্রশ্নে শরণার্থী ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোঃ আবুল কালাম জানান, প্রত্যাবাসন হচ্ছে। যেসব রোহিঙ্গা স্বেচ্ছায় নিজ দেশ মিয়ানমারে ফিরে যেতে চায় তাদের প্রত্যাবাসন করা হচ্ছে।
শরণার্থী ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোঃ আবুল কালাম সাংবাদিকদের জানান, প্রত্যাবাসনের জন্য সার্বিক প্রস্তুতি আগে থেকে সম্পন্ন করা হয়েছে। ঘুমধুম এবং কেরুনতলীর প্রত্যাবাসন ঘাট দুইটি পুরোপুরি ভাবে প্রস্তুত রয়েছে। আজকে দিনের জন্য ঘুমধুম পয়েন্টটি ব্যবহারের সিন্ধান্ত রয়েছে। যেসব রোহিঙ্গা সেচ্ছায় প্রত্যাবাসন হতে চায় তাদেয় প্রত্যাবাসন করা হবে। প্রত্যাবাসন হতে চাওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য ৩ দিনের যাবতীয় রসদপত্র সহ যাবতীয় সরঞ্জাম দেওয়া হচ্ছে। এই প্রত্যাবাসন পক্রিয়া বাস্তবায়নে দায়িত্বরত কর্মকর্তা এবং সহকর্মীরা ওই ২২ নাম্বার ক্যাম্পে প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়া ইউএনএইসসিআরও হস্তক্ষেপ এর মাধ্যমেই এই পক্রিয়া চলছে। সিন্ধান্ত অনুযায়ী স্বেচ্চায় প্রত্যাবাসন হতে চাওয়া রোহিঙ্গাদের সম্মানের সাথে মর্যাদের সাথে প্রত্যাবাসন করা হবে।’
সম্পর্কিত খবর
প্রাপ্ত তথ্যে অনুযায়ী চলতি বছরের ফেব্রুয়ারীতে মিয়ানমার-বাংলাদেশ সমন্বয়ে গঠিত জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের চুক্তি অনুযায়ী রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য কক্সবাজার টেকনাফের কেরুনতলী পয়েন্টে নাফ নদী হয়ে নৌপথে এবং বান্দরবনের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম স্থল পথ দিয়ে ১৫ নভেম্বর প্রথম দফায় ৪৮৫ পরিবারের ২ হাজার ২৬০ জন সদস্যকে প্রত্যাবাসন করা হবে।
এরই প্রেক্ষিতে নাফ নদীর তীরে কেরুনতলী ঘাটে এক লাইনে ১১টি করে ৩ লাইনে ৩৩ আধা সেমি-টিনের থাকার ঘর, চারটি শৌছাগার, চারটি টয়লেট নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। প্যারাবনের ভেতর দিয়ে তৈরী করা হয়েছে ১৬০ গজ লম্বা কাঠের জেটি। যেখানে ইতোমধ্যে ওই ঘরগুলোতে বিদ্যুৎ ও পানির লাইনের কাজও শেষ হয়েছে। আর তা দেখবাল করতে সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য আলাদাভাবে চারটি ঘর তৈরি করা হয়েছে। একইভাবে ঘুমধুমেও করা হয়েছে।
ওএফ