‘ওয়েট, ধর্ষণ হোক’
বাংলাদেশের নারী অধিকার সংগঠনগুলোর নেত্রীরা #মিটু আন্দোলনে জড়াতে চাইছেন না। কারণ, ওঁরা বলছেন, ধর্ষণ হলে ঠিক আছে, কিন্তু যতক্ষণ পর্যন্ত ধর্ষণ না হচ্ছে, ততক্ষণ তো ক্রাইম ঘটছে না। যৌন হেনস্থার সংগাটা নাকি এখনও দুর্বোধ্য।
রোকেয়া কবির নামে এক নেত্রী বিবিসিকে বলেছেন "সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্টের সংজ্ঞা নিয়ে কিন্তু মানুষের মধ্যে কনফিউশন আছে। এমনকি আমাদের যারা এনজিও সেক্টরে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাদের মধ্যেও একটু কনফিউশন আছে। ধর্ষণ পর্যায় পর্যন্ত না গেলে এটাকে খুব বড় অফেন্স হিসেবে দেখেন না অনেকে। যদিও হাইকোর্টের একটা গাইডলাইন আছে।"
সম্পর্কিত খবর
ওয়েট, ধর্ষণ হোক। ফুল পেনেট্রেশন হোক। গায়ে আচঁড় কামড়ের চিহ্ন পাওয়া যাক। তারপর নেত্রীরা ধর্ষণের শিকারের সঙ্গে দেখা করতে যাবেন। পিঠে হাত বুলিয়ে দেবেন। চুল আচড়ে দেবেন। রুমাল নিয়ে যাবেন চোখ মুছিয়ে দেওয়ার জন্য। ফটোগ্রাফার নিয়ে যাবেন ফটো তোলার জন্য। তারপর হয় ধর্ষকের সঙ্গে বিয়ে পড়িয়ে দেবেন ধর্ষিতার। নয়তো সবচেয়ে বড় যে কাজটা করবেন, তা হলো, ধর্ষকের বিরুদ্ধে মামলা করতে সাহায্য করবেন বলে কথা দেবেন। তবে সবকিছুই ধর্ষণ হয়ে যাওয়ার পর, তার আগে কিছুই নয়।
(লেখকের ফেসবুক স্ট্যাটাস)
/এআইডি