সোনাগাজীতে ‘আলোর ফেরিওয়ালা’

১০ বছর আগেও বিদ্যুৎ পাওয়াটা ছিল মানুষের জন্য স্বপ্নের ব্যাপার। দিন-রাত ২৪ ঘণ্টায় যে এলাকার মানুষের ভাগ্যে বিদ্যুৎ জুটতো মাত্র ৫/১০ ঘণ্টা, বাসাবাড়ি কিংবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুতের লাইন নিতে দিনের পর দিন, মাসের পর মাস এমনকি বছর পেরিয়ে গেলেও মানুষ কাঙ্খিত বিদ্যুৎ সংযোগ পায়নি। হাজার হাজার টাকা দিয়েও যেখানে মানুষের কপালে জোটেনি বিদ্যুতের লাইন সেখানে মাত্র পাঁচ মিনিটে ঘরে বসেই আবেদনের সাথে সাথেই পাচ্ছে বৈদ্যুতিক লাইন সংযোগ।

এ যেন সত্যিই স্বপ্ন। যা বাস্তবে রূপ নিয়েছে ফেনী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সোনাগাজী জোনাল অফিসের মাধ্যমে। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির উদ্যোগে আলোর ফেরিওয়ালা কার্যক্রমের মাধ্যমে মানুষের ঘরে ঘরে ভ্যানে করে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে বিদ্যুতের মিটার।

পল্লী বিদ্যুৎ দুয়ার মিটারিং (আলোর ফেরিওয়ালা) কার্যক্রম এর আওতায় এ উপজেলার সাধারণ মানুষের বাড়ি বাড়ি ভ্যানে করে পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ ও মিটার পৌঁছে দেয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ জানুয়ারি) ফেনী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সোনাগাজী জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. আবু সাঈদ ‘আলোর ফেরিওয়ালা’ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এ সময় ফেনী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সোনাগাজী জোনাল অফিসের এজিএম দেবাশীষ পাল, সদস্য সেবা কো-অর্ডিনেটর উত্তম কুমার সেন, লাইন টেকনেশিয়ান মো. হারুন, লাইনম্যান আনিসুর রহমানসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

সোনাগাজীতে আলোর ফেরিওয়ালা কার্যক্রমের আওতায় তাৎক্ষনিক বৈদ্যুতিক সংযোগ পাওয়া গ্রাহক আমিরাবাদ ইউনিয়নের মধ্য আহাম্মদপুর গ্রামের মাহমুদুল হক জানান, এভাবে এত দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগ পাব কখনোই ভাবিনি, এ কার্যক্রম প্রশংসার দাবিদার। পল্লী বিদ্যুৎকে ধন্যবাদ জানাই।

ফেনী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সোনাগাজী জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. আবু সাঈদ বলেন, আলোর ফেরিওয়ালা কার্যক্রমটি চলমান থাকবে। প্রথম দিন সোনাগাজী উপজেলার মতিগঞ্জ ইউনিয়ন, চরদরবেশ ইউনিয়ন, চরচান্দিয়া ইউনিয়ন, আমিরাবাদ ইউনিয়ন ও পৌরসভা এলাকায় ৮টি বৈদ্যুতিক সংযোগ দেয়া হয়েছে। নগদ ৯৬৫ টাকা জমা দিয়েই গ্রাহক তাৎক্ষনিক বিদ্যুৎ সংযোগ পেয়েছে।

/অ-ভি