ঐতিহ্যের আলোয় পর্যটনশিল্পের বিকাশে পর্যটনিয়ার ভিন্ন প্রয়াস
‘রুপের মধু সুরের যাদু কোন সে দেশে/ মায়াবতী মধুমতি বাংলাদেশে’, আবহমান বাংলার ঐতিহ্য আলোয় গড়ে ওঠা সংগঠন ‘পর্যটনিয়া’ গত তিন বছর ধরে দেশীয় পর্যটনশিল্প বিকাশে কাজ করে যাচ্ছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সম্ভাবনাময় পর্যটন কেন্দ্রগুলোকে পরিচিত করে তুলতে সংগঠনটির ব্যতিক্রমী আয়োজন নজর কেড়েছে ভ্রমণ-পিয়াসী মানুষদের।
অনেকটা নিভৃতেই আনুষ্ঠানিক প্রচারণা ছাড়াই পর্যটনিয়া দেশের আকর্ষণীয় নানা স্পটে বেড়ানোর আয়োজন করে চলেছে নিয়মিত। লোকচক্ষুর আড়ালে পড়ে থাকা পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে বেড়ানোর আয়োজনে দেশীয় খাবার পরিবেশনের বাড়তি আমেজ যোগ করেছে ফোক, গজল ও সুফিয়ানা সঙ্গীতের পরিবেশন।
সম্পর্কিত খবর
সেই ধারাবাহিকতায় পর্যটনিয়া এবার বেছে নেয় নারায়ণগঞ্জে বরফকল এলাকার চৌরঙ্গী ইকোপার্ক পর্যটন কেন্দ্রকে। শনিবার (১৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় চৌরঙ্গী ইকোপার্ক এ ভাসমান রেস্টুরেন্টে আয়োজন করা হয় 'হ্যাপি নিউ ইয়ার সেলিব্রেশন-২০১৯'। এবারের অনুষ্ঠানটির মিডিয়া পার্টনার ছিল পূর্বপশ্চিমবিডি ডট নিউজ।
অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশনা করেন বাপ্পি রাজ ফ্রেন্ডস ব্যান্ড দল। দলটির প্রধান বাপ্পি রাজ তার সুরের মূর্ছনায় অনুষ্ঠানটিকে ভিন্ন মাত্রায় পৌঁছে দেন। গান গেয়ে মাতিয়ে রাখেন উপস্থিত সকল শ্রোতাকে। অনুষ্ঠানের ফোক সংগীত দিয়ে শুরু হলেও তারপর গজল পরিবেশন করা হয় সবশেষে সুফিয়ানা সংগীতের মধ্য দিয়ে শেষ হয় পর্যটনীয়ার এবারের আয়োজন।
পর্যটনিয়ার প্রধান উদ্যোক্তা আবু সাঈদ আহমেদ বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে পর্যটন কেন্দ্রগুলোকে ভিন্নভাবে কিভাবে সবার সামনে নিয়ে আসা যায় তারই একটি চেষ্টা। যেখানে অন্যান্য অনুষ্ঠানের মত ডিজে গান পরিবেশন না করে ফোক, গজল ও সুফিয়ানা গান পরিবেশন করা হয়। সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয় পরিবারকে, যারা যেসব অনুষ্ঠানে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে উপভোগ করতে পারেন না তারা পর্যটনীয়ার প্রত্যেকটি অনুষ্ঠানে পরিবারের সকল সদস্যদের নিয়ে আসতে পারে। সেটার উপরই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, সারাদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কেন্দ্রগুলোকে খুঁজে বের করে সেসব স্থানে প্রতিমাসে একটি করে অনুষ্ঠান আয়োজন করে থাকি। চেষ্টা করছি আমাদের দেশের পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে। গত তিন বছর ধরে চালিয়ে যাওয়া উদ্যোগ ভবিষ্যতেও চালিয়ে যাব।
/অ-ভি