জানিনা লেখাটি কার। তবে যারই হোক তাঁর লেখার যুক্তি অকাট্য।
চলছে- খান আতা পরিচালিত-“আবার তোরা মানুষ হ” ১৯৭৩ পাকিস্তানি চলচ্চিত্রকার এ জে কারদার ১৯৭১ সালে “বিট্রেয়াল”-এর মতো চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন, যেখানে পাকিস্তানি বাহিনীর নৃশংসতাকে ঢেকে দেয়া হয় বা সেগুলোকে দেখানো হয় না। এই প্রামাণ্যচিত্রের সহকারী পরিচালক ছিলেন-খান আতা।
যেখানে জুলাই মাসে শুরু হয় জহির রায়হানের স্টপ জেনোসাইড নির্মাণের কাজ। পরে একে একে নির্মিত হলো লিবারেশন ফাইটারস (পরিচালক আলমগীর কবির), ইনোসেন্ট মিলিয়নস (বাবুল চৌধুরী) এবং এ স্টেট ইজ বর্ন (জহির রায়হান)। সেখানে খান আতা ১৯৭১ সালে চলে যান পাকিস্তানি চলচ্চিত্রকার এ জে কারদােরের সাথে “বিট্রেয়াল”-এর মতো চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে।
সম্পর্কিত খবর
যেখানে ব্যক্তিগত উদ্যোগে লিয়ার লেভিন এসেছিলেন বাংলাদেশ ফ্রন্টে। তেমনি এসেছিলেন শুকদেব। ভারতীয় চলচ্চিত্রকার শুকদেব মহাকাব্যসম ছবি নাইন মান্থস টু ফ্রিডম-এ তুলে ধরেন একটি জাতির রক্তাক্ত, বেদনার্ত এবং সংঘাতময় জন্ম-ইতিহাস। সেখানে খান আতা পাকিস্তানি চলচ্চিত্রকার এ জে কারদারের সাথে “বিট্রেয়াল”-এর মতো চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে থাকেন।
যেখানে একাত্তর সালে যুক্তরাজ্যের টেলিভিশন চ্যানেল গ্রানাডার জন্য ২৬ মিনিটের প্রামাণ্য ছবি মেজর খালেদস ওয়ার তৈরি করেছিলেন এক ভারতীয় মহিলা। জাপানি চলচ্চিত্রকার নাগিশা ওশিমা নির্মাণ করেন বাংলাদেশ স্টোরি। পরে তিনি রহমান. দি ফাদার অব নেশন নামে নির্মাণ করেন আরেকটি ছবি। ভারতীয় প্রামাণ্যচিত্রনির্মাতা গীতা মেহতা নির্মাণ করেন ডেটলাইন বাংলাদেশ, যার বিষয়বস্তু গণহত্যা ও আমাদের মুক্তিসংগ্রাম। ভারতীয় চলচ্চিত্রকার দুর্গাপ্রসাদ নির্মাণ করেন দুরন্ত পদ্মা। সেখানে খান আতা একজন বাঙ্গালী হয়েও পাকিস্তানি চলচ্চিত্রকার এ জে কারদারের “বিট্রেয়াল”-এর মতো চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে থাকেন। কিন্তু কেন? বা কি করে খান আতা এসব করেন...সেটাও কি জোড় করে স্বাক্ষর নেবার মত গল্প.!
তারপর দেশ স্বাধীন হলে খান আতা বলেন-“আবার তোরা মানুষ হ” হায়রে নিয়তি.." সংগৃহীত।