• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

সম্ভাব্য নতুন রাষ্ট্র: কিংডম অব দীক্ষিত!

প্রকাশ:  ১৬ নভেম্বর ২০১৭, ১৮:৩৮
রহমান হেনরী

সম্প্রতি, ভারতীয় এক তরুণ, রাজা সুযশ দীক্ষিত, নতুন একটি ভূখণ্ডকে রাষ্ট্র ঘোষণা করে, নিজেকে ওই রাষ্ট্রের রাজাও ঘোষণা করেছেন। মিশর ও সুদানের মধ্যবর্তী স্থানে ৮০০ বর্গমাইল জুড়ে ভূখণ্ডটির অবস্থান। এলাকাটির নাম: বীর তাউইল।রাজা সুযশ দীক্ষিত, ভারতের ইন্দোরের মানুষ। বয়স ২৪ বছর। পেশায় একটি তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী। পৃথিবীর দুর্গমাঞ্চলসমূহে ভ্রমণ/ ঘোরাঘুরি তার নেশা।

মিসর ও সুদানের মধ্যবর্তী বীর তাউইল নামের ওই অঞ্চল কারও দখলে নেই। এলাকাটি দুর্গম। অনেক কষ্ট করে দিন কুড়ি আগে একজন চালককে রাজি করিয়ে ওই এলাকায় গিয়েছিলেন সুযশ। গিয়ে জানতে পারেন, কোনো দেশই এলাকাটির দাবিদার নয়। একসময় ওই এলাকায় মানুষের বাস ছিল। কিন্তু বহু বছর ধরে কোনো মানুষ আর সেখানে থাকে না। খোঁজ নিয়ে জেনেছেন, ২০১৪ সালে মার্কিন নাগরিক জেরেমি হিটন নামের এক ব্যক্তি এই এলাকার রাজা হওয়ার দাবি করেছিলেন। পরে তিনি তা ছেড়ে চলে যান। প্রাচীন রীতি অনুযায়ী, কোনো এলাকা নিজের বলে দাবি করলে সেখানে শস্য ফলাতে হয়। আর এ কারণেই ওই এলাকায় শষ্য লাগিয়ে তা নিজের বলে দাবি করেছেন। পরে তিনি লাল ও হলুদ রঙের পতাকা টাঙিয়ে দিয়েছেন।

সম্পর্কিত খবর

    নিউইয়র্ক পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাবা রাজেশ কুমার দীক্ষিতের জন্মদিনে সুযশ বিশেষ উপহার দিতে চেয়েছিলেন। এ কারণেই তিনি বাবার জন্মদিনে দেশটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা করেছেন। দেশটির স্বীকৃতি চাইতে শিগগির জাতিসংঘেও আবেদন করবেন তিনি।

    রাজা সুযশ দীক্ষিত জানিয়েছেন, নিজেকে “কিংডম অব দীক্ষিত”–এর রাজা হিসেবে ঘোষণা করছি। আজ থেকে আমি রাজা সুযশ। দাবিদারহীন বীর তাউইল অঞ্চল আজ থেকে আমার দেশ। আমি এই দেশ ও দেশের নাগরিকদের উন্নয়নে কাজ করে যাব। তিনি দেশটির সবকিছুতে সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে চান। তিনি বলেন, ‌দেশ চালাতে অর্থের দরকার। এ কারণে আপাতত কেউ চাইলে মোটা অঙ্কের বিনিময়ে প্রেসিডেন্ট হতে পারে। দেশটির নাগরিকেরা অনলাইনের মাধ্যমে সবাই সম্পর্কযুক্ত থাকবেন। দেশটর নাগরিক হওয়ার জন্য সবাইকে তিনি আহ্বান জানিয়েছেন। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরতে ঘুরতে, মালিক বনে যাওয়া তাঁর দেশটিতে এখন পর্যন্ত নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আট শতাধিক মানুষ অনলাইনে আবেদনও করে ফেলেছেন।

    সুযশ বলছেন, দেশটিতে মানুষ নেই। এই মুহূর্তে মানুষের বদলে অসংখ্য টিকিটিকি রয়েছে। এ কারণে দেশটির জাতীয় প্রাণী হিসেবে টিকটিকির নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া মিসরের বন্ধুদের সহায়তায় তিনি সেখানে আপাতত কিছু তাঁবু খাটানোর চেষ্টা করবেন। ইতোমধ্যে, আবদুল রহমান রাফাই নামের এক ব্যক্তিকে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেখানেই থাকছেন। কারণ, কোনো একটি এলাকাকে নতুন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে জাতিসংঘে শর্ত হলো, সেখানে স্থায়ী বাসিন্দা থাকতে হবে।

    সুযশ বর্তমানে ভারতে ফিরেছেন। আগামী বছর তিনি আবার সেখানে যাবেন। তত দিন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল রহমান রাফাই দেখভাল করবেন। একটি সম্ভাব্য নতুন রাষ্ট্রের মালিক হয়ে ওঠা রাজা সুযশ দীক্ষিত দুনিয়াব্যাপী রীতিমত হৈচৈ বাধিয়ে দিয়েছেন।

    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close