• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

ভিলিয়ার্স ঝড়ে ৩৫৩ রানের পাহাড়

প্রকাশ:  ১৮ অক্টোবর ২০১৭, ১৭:৫১ | আপডেট : ১৮ অক্টোবর ২০১৭, ১৮:০০
স্পোর্টস ডেস্ক

পার্লে আজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ। ম্যাচটিতে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকা ব্যাটিংয়ে নেমে দারুণ সূচনা করে।

বাংলাদেশ আজ একটি পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নেমেছে। একাদশে নেই মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। গত ম্যাচে ইনজুরির কারণে না খেললেও আজ একাদশে আছেন তামিম ইকবাল। সিরিজের প্রথম ম্যাচে দশ উইকেটে হেরেছিল বাংলাদেশ।

সম্পর্কিত খবর

    সাকিব আল হাসানের জোড়া আঘাতের পর ১৮ ওভার শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ছিল ২ উইকেটে ৯০ রান। তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে দারুণ কিছুর স্বপ্নই দেখছিল বাংলাদেশ। তৃতীয় উইকেটে হাশিম আমলাকে নিয়ে দারুণ এক জুটি গড়ে প্রোটিয়াদের মজবুত অবস্থানে নিয়ে যায় এবি ডি ভিলিয়ার্স। এরপর ঝড় তোলেন এই স্টাইলিশ ব্যাটসম্যান। তার তাণ্ডবে বাংলাদেশকে ৩৫৪ রানের বিশাল লক্ষ্য ছুড়ে দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।

    পার্লের বোল্যান্ড পার্কে টসে জিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ব্যাটিংয়ে পাঠান মাশরাফি বিন মুর্তজা। ডি ভিলিয়ার্সের ডাবল সেঞ্চুরি ছুঁই ছুঁই ইনিংস এবং আমলা ও ডি ককের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ের সুবাদে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩৫৩ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা।

    দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সর্বোচ্চ ১৭৬ রান করেন ডি ভিলিয়ার্স। তার ১০৪ বলের ইনিংসটি ১৫টি চার ও ৭টি ছক্কায় সাজানো ছিল। ওয়ানডেতে এটিই ডি ভিলিয়ার্সের সর্বোচ্চ ইনিংস। এছাড়া আমলা ৯২ বলে ৮৫, ডি কক ৪৬ এবং জেপি ডুমিনি করেন ৩০ বলে ৩০ রান।

    ডি ভিলিয়ার্সের ঝড়ের মুখে পড়ে মাশরাফি ১০ ওভারে ৮২ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকেন। তাসকিন ৯ ওভারে ৭১ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকেন। সেই তুলনায় রুবেল ও সাকিব ভালো বোলিং করেছেন। সাকিব ১০ ওভারে ৬০ রান দিয়ে দুটি এবং রুবেল সমান ওভারে ৬২ রান দিয়ে নেন চারটি উইকেট।

    টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ম্যাচে ২৮২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়া আমলা-ডি কক এদিনও ভয় ধরিয়ে দিচ্ছেলেন টাইগার শিবিরে। ধীরে ধীরে এই জুটি পূর্ণ করতে চলছিল শতরানের জুটি। এই সময়ই আঘাত হানেন সাকিব। এই টাইগার স্পিনারের করা ১৮তম ওভারের তৃতীয় বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফেরেন ডি কক।

    ডি কক সাজঘরে ফেরার পর ক্রিজে আসেন অধিনায়ক ডু প্লেসিস। প্রথম দুই বল দেখেশুনে খেললেও কোনো রান নিতে পারেননি। পরের বলে তথা ১৮তম ওভারের শেষ বলে প্রোটিয়া অধিনায়ককে বোল্ড করে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন সাকিব।

    পরপর দুই উইকেট হারিয়েও দমে যায়নি দক্ষিণ আফ্রিকা। তৃতীয় উইকেটে আমলা ও ডি ভিলিয়ার্স মিলে ১০৮ বলে ১৩৬ রানের দুর্দান্ত জুটি গড়ে প্রোটিয়াদের মজবুত ভিত এনে দেন। রুবেল হোসেনের করা ৩৬তম ওভারের শেষ বলে মুশফিককে ক্যাচ দিয়ে আমলা ফিরে গেলে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফেরে টাইগার শিবিরে।

    কিন্তু সেই স্বস্তি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। চতুর্থ উইকেটে ডুমিনিকে নিয়ে ৭০ বলে ১১৭ রানের ঝোড়ো জুটি গড়ে বাংলাদেশকে ম্যাচ থেকে অনেকটাই ছিটকে দেন ডি ভিলিয়ার্স।

    দারুণ খেলতে থাকা ডি ভিলিয়ার্স ডাবল সেঞ্চুরির পথেই হাঁটছিলেন। তবে রুবেল হোসেনের করা ৪৮তম ওভারের চতুর্থ বলে তুলে মারতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে সাব্বির রহমানের হাতে ধরা পড়েন এই স্টাইলিশ ব্যাটসম্যান।

    ডি ভিলিয়ার্স আউট হওয়ার পর বাকি ১৪ বলে দাপট দেখায় বাংলাদেশ। তাসকিন এবং রুবেলের করা শেষ ১৪ বলে মাত্র ১০ রান নিতে সক্ষম হয় প্রোটিয়ারা। এরমধ্যে রুবেলের করা ইনিংসের শেষ ৩ বলে কোনো রানই নিতে পারেনি স্বাগতিকরা; যার মধ্যে চতুর্থ ও পঞ্চম বলে টানা দুই উইকেট নেন এই ডানহাতি পেসার।

    চোটের কারণে প্রথম ওয়ানডেতে দলে না থাকা উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল এ ম্যাচে দলে ফিরেছেন। তাকে জায়গা করে দিতে দল থেকে বাদ পড়েছেন প্রথম ওয়ানডেতে অভিষেক হওয়া পেস বোলিং অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন।

    সিরিজে টিকে থাকতে হলে এই ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই মাশরাফিদের সামনে। অন্যদিকে এই ম্যাচে জয় তুলে নিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই ওয়ানডে সিরিজ নিজেদের করে নিতে মুখিয়ে আছেন আমলা-ভিলিয়ার্সরাও।

    রোববার অনুষ্ঠিত সিরিজের প্রথম ম্যাচে মুশফিকুর রহিমের শতকে ভর করে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২৮২ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দিয়েও পাত্তা পায়নি বাংলাদেশ। ১০ উইকেটেই ম্যাচটি জিতে নেয় প্রোটিয়ারা। ওয়ানডে সিরিজের পর বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকা দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে লড়বে।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    দক্ষিণ আফ্রিকা ইনিংস: ৩৫৩/৬ (৫০ ওভার)

    (হাশিম আমলা ৮৫, কুইন্টন ডি কক ৪৬, ফাফ ডু প্লেসিস ০, এবি ডি ভিলিয়ার্স ১৭৬, জেপি ডুমিনি ৩০, ফারহান বিহারডাইন ৭*, ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস ০, আন্দিল ফেহলাকওয়েও ০*; মাশরাফি বিন মর্তুজা ০/৮২, তাসকিন আহমেদ ০/৭১, সাকিব আল হাসান ২/৬০, নাসির হোসেন ০/৪৯, রুবেল হোসেন ৪/৬২, সাব্বির রহমান ০/১১, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ০/১৬)।

    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close