ভারতকে ২৩৮ রানের টার্গেট দিলো পাকিস্তান
জিতলে ফাইনালের টিকিট পাবে পাকিস্তান। এশিয়া কাপের সুপার ফোর পর্বে এমন সমীকরণ নিয়ে পাকিস্তান। আগে ব্যাট করে ভারতকে ২৩৮ রানের টার্গেট দিয়েছে পাকিস্তান।ভারতকে জিততে হলে ২৩৯ রান করতে হবে যা ভারতের কাছে কোনো সমস্যা না। কারণ তাদের ব্যাটিং লাইনআপ তাই বলে।
আজকের ম্যাচ নিয়ে চলমান এশিয়া কাপে দ্বিতীয়বারের মতো মুখোমুখি হয়েছে ভারত-পাকিস্তান। এর আগে গ্রুপপর্বের ম্যাচে মুখোমুখি হয় এই দুই দল। ৮ উইকেটের বড় জয় তুলে নেয় ভারত।
সম্পর্কিত খবর
রোববার দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটিং নেন পাকিস্তান অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ। তবে শুরুটা ভালো হয়নি পাকিস্তানের।শুরুতেই যুজবেন্দ্র চাহালের এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে ফিরে যান ইমাম-উল-হক। অবশ্য চাহালের দুর্দান্ত গুগলি ইমামের প্যাডে লাগলেও আউট দেননি আম্পায়ার। পরে ভারত রিভিউ নিলে আউট হন তিনি।
এরপর বাবর আজমকে নিয়ে প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দেন ফখর জামান। তারা এগুচ্ছিলেনও বেশ ভালো ভাবেই। কিন্তু হঠাৎই তাদের ছন্দপতন হয়। দলীয় ৫৫ রানে স্পিনার কুলদ্বীপ যাদবের বলে এলবিডব্লিউর শিকার হয়ে ফেরেন ফর্মের তুঙ্গে থাকা ফখর (৩১)। স্কোর বোর্ডে ৩ রান যোগ হতেই ফিরে যান বাবর। ভুল বোঝাবুঝির খেসারত গুনে রানআউটে কাটা পড়েন তিনি। এতে বিপাকে পড়ে যায় পাকিস্তান।
এমন অবস্থা থেকে শোয়েব মালিককে নিয়ে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা চালিয়ে যান সরফরাজ আহমেদ। দুর্দান্ত বোঝাপড়ায় স্কোর বোর্ডে রানের পর রান যোগ করতে থাকেন দুই সিনিয়র খেলোয়াড়। দলীয় ১৬৫ রানে অল্পের জন্য ফিফটি থেকে বঞ্চিত হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। কুলদ্বীপ যাদবের বলে রোহিত শর্মার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে ৬৬ বলে ২ চারে ৪৪ রান করেন পাক অধিনায়ক।যার ফলে মালিকের সঙ্গে ১০৭ রানের জুটি ভাঙে।
সরফরাজ ফিরলেও একপ্রান্ত ধরে খেলতে থাকেন শোয়েব মালিক। আর ক্রিজে এসেই ঝড় তোলেন আসিফ আলি। এতে বড় স্কোরের স্বপ্ন দেখতে থাকে পাকিস্তান। কিন্তু ২০৩ রানে জাসপ্রীত বুমরাহর বলে উইকেটের পেছনে মহেন্দ্র সিং ধোনির তালুবন্দি হয়ে মালিক ফিরলে সেই স্বপ্ন ভেংগে যায়। ফেরার আগে ক্যারিয়ারের ৪৩তম ফিফটি তুলে নেন মালিক। শেষ পর্যন্ত ৯০ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৭৮ রানের লড়াকু ইনিংস খেলেন তিনি।
শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেটে ২৩৭ রান করে পাকিস্তান। মোহাম্মদ নওয়াজ ১৫ ও হাসান আলি ২ রানে অপরাজিত থাকেন। বুমরাহর শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নের ফিরেন শাদাব খান। ভারতের হয়ে বুমরাহ, চাহাল ও কুলদ্বীপ প্রত্যেকে নেন ২টি করে উইকেট।
/এস কে