কারাগারে থেকে বিএনপির মনোনয়ন পেলেন ৫ নেতা
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে ৩০০ আসনে চূড়ান্ত মনোনয়ন দিয়েছে বিএনপি। দুর্নীতিতে দণ্ডিত বিএনপির চেয়ারপাসন বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে নির্বাচন করতে গিয়ে বিএনপি এবার জোট বেঁধেছে কামাল হোসেনের ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে তার সাথে আগের ২০ দলীয় ঐক্যজোটও রয়েছে।
জেল, দণ্ড কিংবা ঋণখেলাপি ছাড়া অভিজ্ঞ হেভিওয়েট প্রার্থীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কাউকে বাদ দেয়া হয়নি। ধানের শীষ প্রতীকে প্রথমবারের মতো জাতীয় নির্বাচনে লড়বেন নারীসহ শতাধিক নতুন মুখ। এছাড়া কারাগারে থেকেও মনোনয়ন পেয়েছেন বেশ ৫ জন, আছেন ১০ সংস্কারপন্থী নেতাসহ ১৩ জন আইনজীবি।
সম্পর্কিত খবর
কারাগারে থেকে মনোনয়ন প্রাপ্তরা হলেন, নরসিংদী-১ আসনের খায়রুল কবীর খোকন, চট্টগ্রাম-৯ আসনে ডা: শাহাদাত হোসেন, টাঙ্গাইল-২ আসনে সুলতান সালাউদ্দিন টুকুু, মাগুরা-১ আসনে মনোয়ার হোসেন খান এবং রাজশাহী-৬ আসনে আবু সাঈদ চাঁন।
এছাড়াও বিএনপি প্রার্থী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়নে চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত সালাউদ্দিন কাদেরের ভাই কারাবন্দী গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরী, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক প্রতিমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু, ফাঁসির দন্ড প্রাপ্ত কারাবন্দী সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনের বিএনপি প্রার্থী কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরী ও চাঁদপুর-১ আসনে কারাবন্দি নেতা আ ন হ এহছানুল হক মিলনের দলীয় মনোনয়নের চিঠি দিলেও তাকে শেষ পর্যন্ত চূড়ান্ত মনোনয়ন দেয়নি বিএনপি।
তবে চাঁদপুর-১ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী কারাবন্দি নেতা আ ন হ এহছানুল হক মিলনের সমর্থকরা তাদের নেতাদের মনোনয়ন দেয়ার দাবীতে বিএনপির নয়া পল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের বাইরে গত দুইদিন বিক্ষোভ ও ভাংচুর চালিয়েছে।
অন্যদিকে, কারাগারে থাকা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার তিন আসনে প্রার্থিতা বাতিলে নির্বাচনে অংশ নেয়া অনেকটাই অনিশ্চিত । যদিও নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রিট করা হয়েছে। বগুড়া ৬ ও ৭ এবং ফেনী-১ এই তিন আসনে লড়তে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন তিনি।রোববার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদন করা হয়।
খালেদা জিয়া দুই বছরের বেশি সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় গত ২ ডিসেম্বর তার সবকটি মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।পরে নির্বাচন কমিশনের আপিল এজলাস বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন। তবে শুনানিতে প্রার্থিতা বহালের পক্ষে মত দেন মাহবুব তালুকদার। এর বিপক্ষে মত দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ ৪ জন। পরে রায়ের কপি পাওয়ার পর প্রার্থিতা বাতিল করা নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করেছেন খালেদা আনিজীবিরা তবে খালেদা জিয়ার ভোটে অংশ সম্ভবনা নেই বলে মনে করছে বিএনপি নেতারা।তিন যুগ আগে খালেদা জিয়া দলের চেয়ারপারসনের দায়িত্ব নেওয়ার পর এই প্রথম তাকে ছাড়াই জাতীয় নির্বাচন করতে হচ্ছে বিএনপিকে। এই অবস্থাকে দুর্দিন হিসেবে দেখছেন দলটির নেতারা।
/এসএফ