• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

দিনাজপুরে প্রচারণায় ব্যস্ত আ.লীগ, মাঠে নেই বিএনপি

প্রকাশ:  ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮, ২০:৪০ | আপডেট : ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮, ২০:৫৯
দিনাজপুর প্রতিনিধি

দিনাজপুর জেলার ১৩টি উপজেলা নিয়ে ৬টি জাতীয় সংসদীয় আসন গঠিত। ৬টি আসনের বিপরীতে আওয়ামী লীগ, বিএনপি জাতীয় পার্টি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, মুসলিম লীগ, কমিউনিস্ট পার্টিসহ ৩৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। এই জেলায় মোট ভোটার ২২ লাখ, ৮ হাজার ৫ শত ৮৬ জন। তার মধ্যে পুরুষ ভোটার ১১ লাখ ৭ হাজার ২ শত ২৯ জন। মহিলা ভোটার রয়েছে ১১ লাখ ১ হাজার ৩ শত ৫৭ জন ।

একাদশ জাতীয় নির্বাচনের তফশিল ঘোষণার পর থেকেই জামায়াত বিএনপির চিহ্নিত নেতাদের পুলিশ আটক করছে। এছাড়াও জামায়াতের সমর্থক ৭০ থেকে ৮০ বছরের বয়স্ক ব্যক্তিদেরকে আটক করেছে পুলিশ।

সম্পর্কিত খবর

    জানা গেছে, এ পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াতের ২৮২ জনকে আটক করা হয়েছে। এছাড়াও প্রতিদিন গড়ে ৮ থেকে ১০ জন করে আটক করেছে বিভিন্ন থানা পুলিশ । এছাড়ও কোন রাজনৈতিক মামলা আটক বিএনপি জামায়াতের নেতাকর্মীদের জামিনের জন্য কারাগারে গিয়ে জামিন নামায় স্বাক্ষর করতে গিলেও সাদা পোশাকধারী পুলিশ সদস্যরা তাকেও আটক করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

    দিনাজপুর -১ (বীরগঞ্জ-কাহারোল):

    এই আসনে আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী মনোরঞ্জন শীল গোপাল ও বিএনপি মনোনিত প্রার্থী জামায়াত নেতা মাওলানা মোহাম্মদ হানিফসহ মোট ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। পোস্টার, ব্যানার, প্রচারণায় আওয়ামী লীগ এগিয়ে আছে। বিএনপির নেতাকর্মীরা ঘর থেকে বের হলে গ্রেফতার হচেছ এই ভয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় কেউ অংশ নিতে পারছে না।

    আওয়ামী লীগের একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশি থাকায় অভ্যন্তরীণ কোন্দল রয়েছে। আওয়ামী লীগের একাধিক গ্রুপিং থাকায় বিষয়টি বড় ফ্যক্টোর হতে পারে। ভোটাররা মুখ খুলে কোন কিছু বলতে চায় না। তাদের একটাই কথা ভোটের দিন ভোট দিতে পারব তো। এখানে ১২৩ টি কেন্দ্রের মধ্যে ৫০টি কেন্দ্র ঝুকিপূর্ণ বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নির্ধারণ করেছে। তবে এখানে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে আওয়ামী লীগ-বিএনপি প্রাথীর মধ্যে

    দিনাজপুর–২ (বিরল-বোচাগঞ্জ)

    এই আসনে আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও বিএনপি মনোনিত প্রার্থী সাদিক রিয়াজ পিনাক চৌধূরীসহ ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। পোস্টার, বিল বোর্ট, ব্যানার, লিপলেট আর প্রচার-প্রচারণায় এগিয়ে আওয়ামী লীগ। বিএনপি প্রার্থীও প্রচারণা করতে পারছে তবে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর মতো করে নয়।

    অন্যান্য প্রার্থীর প্রচারণা তেমন নেই বলেই চলে। এখানে আওয়ামী লীগের একটি অংশ বর্তমান প্রার্থীর বিরোধীতা করছে। তবে বিএনপির মধ্যে কোনও কোন্দল নেই । তবে বিএনপির নেতাকর্মীরা মামলায় জর্জারিত। এই আসনে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ প্রার্থীর মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে । এই আসনে ১১৩টি কেন্দ্রের মধ্যে ২৫টি কেন্দ্র ঝুকিপূর্ণ বলে দাবি করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

    দিনাজপুর -৩ (সদর):

    এই আসনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি , প্রার্থীসহ মোট ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ইকবালুর রহিম আর বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম। এখানে মূলত নৌকা আর ধানের শীষ মার্কা প্রার্থীর সাথে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। নেই দুদলের কোনও বিদ্রোহী প্রার্থী।

    আসনটি জেলা সদর হওয়ায় জেলা আওয়ামী লীগের ও সদর আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল রয়েছে। তবে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বাবার বাড়ি থাকায় বিএনপির একটা আলাদা দাপট রয়েছে। ১২৮টি কেন্দ্রের মধ্যে ৪০টি কেন্দ্র ঝুকিপূর্ণ বলে দাবি করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

    দিনাজপুর -৪ (চিরিরবন্দর-খানসামা)

    এখানে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থীসহ মোট ৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। এখানে আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট প্রাথী বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী আর বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান মিয়া রয়েছে । এখানে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে নৌকা ও ধানের শীষ মার্কার প্রার্থীর সাথে। আওয়ামী লীগের কোন বিদ্রোহী প্রাথী না থাকলেও আওয়ামী লীগের একটা শক্তিশালী গ্রুপ প্রার্থীর বিরোধীতা করছে। তবে বিএনপির মধ্য কোন অভ্যন্তরীণ কোন্দল নেই । তবে প্রচারণায় ধীর গতি আছে।

    দিনাজপুর -৫ (ফুলবাড়ী-পার্বতীপুর)

    এখানে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থীসহ মোট ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে । এখানে আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট প্রাথী ৬ বারের সংসদ সদস্য বর্তমান প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার আর বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য এ জেড এম রেজওয়ানুর হক রয়েছে। এখানে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে নৌকা ও ধানের শীষ মার্কার প্রার্থীর সাথে।

    দিনাজপুর -৬ (বিরামপুর-ঘোড়াঘাট)

    এখানে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থীসহ মোট ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে । এখানে আওয়ামী লীগের বর্তমান শিবলী সাদিক আর ২০ দলীয় জোট তথা জামায়াত নেতা আনোয়ারুল ইসলাম। এখানে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে নৌকা ও ধানের শীষ মার্কার প্রার্থীর সাথে। আওয়ামী লীগের কোনও বিদ্রোহী প্রাথী না থাকলেও আওয়ামী লীগের একটা শক্তিশালী গ্রুপ প্রার্থীর বিরোধীতা করছে তবে বিএনপি ও জামায়ের মধ্যে কোন কোন্দল না থাকলেও স্নায়ু যুদ্ধ আছে।

    /অ-ভি

    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close