• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

ভোটের মাঠে আ’লীগ, মামলায় কোণঠাসা বিএনপি

প্রকাশ:  ১৯ ডিসেম্বর ২০১৮, ১২:১১ | আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০১৮, ১২:১৯
শাহজাহান আলী বিপাশ, ঝিনাইদহ

ঝিনাইদহের ছয় উপজেলায় চার সংসদীয় আসনে ফুরফুরে আমেজে ভোটের মাঠে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এবং নেতাকর্মীরা। প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকার মোড়ে মোড়ে নির্বাচনী সভা সমাবেশ করে যাচ্ছে নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা। অন্যদিকে বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের প্রার্থী সমর্থকরা মামলা হামলায় কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। জেলার আসনগুলোতে ধানের শীষের প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের উপর মামলা, হামলা, ভাঙচুর ও আটক অব্যাহত রয়েছে। প্রতিদিনই নেতাকর্মীদের আটক করা হচ্ছে। মামলাও দেওয়া হচ্ছে সমান তালে। প্রকাশ্যে দু’এক জায়গায় প্রচারণার কাজ করলেও তা ক্ষমতাশীন দলের সমর্থকদের হামলার মুখে পড়ে। ফলে কোণঠাসা বিএনপি অনেকটা আতঙ্কের মধ্যেও কৌশলে ভোটের প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে।

৪টি সংসদীয় আসনে বিএনপি-আওয়ামী লীগসহ মোট ১৮ প্রার্থী ভোট করছেন। তবে ভোটের মাত্র ১০ দিন বাকি থাকলেও বিএনপি-আওয়ামী লীগ বাদে অন্য প্রার্থীদের ভোটের মাঠে এখনো দেখা যায়নি। তবে, মঙ্গলবার ঝিনাইদহ শহরে জাকের পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা আমির ফয়সাল স্থানীয় প্রার্থীর পক্ষে ভোটের প্রচারণা শুরু করেন।

বিএনপি প্রার্থীদের অভিযোগ, ১১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে শৈলকুপার শেখপাড়া বাজারে ঝিনাইদহ-১ আসনের বিএনপি প্রার্থী এ্যাড. আসাদুজ্জামানের গাড়ি বহরে হামলা করে। এসময় ২৫ মোটরসাইকেল ও ৬ মাইক্রো ভাঙচুর করা হয়।

এদিকে ঝিনাইদহ-২ আসনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী এ্যাড. আব্দুল মজিদ স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের এক মেইল বার্তায় নিজ বাসায় অবরুদ্ধ রয়েছেন বলে অভিযোেগ করছেন। তার অভিযোগ নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের প্রহরা বসানো হয়েছে। এ পর্যন্ত কমপক্ষে ২০ নেতাকর্মীকে মারধর করা হয়েছে। নির্বাচনী পোষ্টার, ব্যানার ও হ্যান্ডবিল পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া ১০ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় এ প্রার্থীর ব্যক্তিগত কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা।

ঝিনাইদহ-৪ আসনের ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী ঢাবি ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজের অভিযোগ, কালীগঞ্জ উপজেলার চাপরাইল বাজারে গণসংযোগ শেষে ফেরার পর বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর হামলা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। হামলায় কমপক্ষে ৫ জন আহত হয়। ব্যবসায়ী ফুল মিয়ার ৭০ হাজার টাকা লুট করে। একইদিন রাতে গোমরাইল বাজারে তার সমর্থক নাজমুলকে মারধর করে বলে অভিযোগ করেন।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে শৈলকুপা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান খান দিপু, সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদুল ইসলাম সাজ্জাদ, পৌর ছাত্রদলের সভাপতি ইমদাদুল হক আককুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগ আনা হয়েছে। একই দিন সন্ধায় মহেশপুর উপজেলার নাটিমা ইউনিয়নের ধানের শীষের প্রচার মাইক ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

এছাড়া, তফশীল ঘোষণার পর ঝিনাইদহ-৩ (কোটচাঁদপুর- মহেশপুর উপজেলা) আসনে বিএনপির প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের নামে ছয়টি মামলা করা হয়েছে। যদিও তাদের দাবি মামলা গুলো গায়েবি ও মনগড়া। পুলিশ অতি উৎসাহী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে এসব মামলা দায়ের করেছে। এসব মামলায় ঝিনাইদহ-৩ আসনে ২০ দলীয় জোটের প্রার্থী অধ্যাপক মতিয়ার রহমারকে আসামি করা হয়েছে। ফলে পালিয়ে বেড়াচ্ছে ধানের শীষ প্রতীকের এই প্রার্থী। এছাড়া মহেশপুর মান্দাবাড়িয় ইউনয়নের ৪নং শ্রীরামপুর বাজানের ধানের শীষের কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়েছে।

পিবিডি/পি.এস

ঝিনাইদহ,বিএনপি,আ’লীগ,ভোট
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close