মহিউদ্দিন পুত্রের কান্নায় ভারী চমেক
মেজবানে নিহতদের পরিবারকে ১ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে এবং আহতদের চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন চট্টলবীরের পরিবার। একই সঙ্গে মৃতব্যক্তিদের আত্মার সদঘতি কামনা করা হয়।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিহত ও আহতদের দেখতে এসে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহিউদ্দিন চৌধুরীর ছেলে মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এ ঘোষণা দেন। এসময় তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন।
সম্পর্কিত খবর
তার সাথে থাকা নেতাকর্মী সকলেই কান্নায় ভেঙে পড়েন এবং নওফেল কে সান্ত্বনা দেয়ার চেষ্টা করেন।
সোমবার দুপুরে নগরীর রীমা কমিউনিটি সেন্টারে ওই কুলখানিতে এসে পদদলিত হয়ে নিহত হয়ছেন ১১ জন এবং আহত হয়েছেন অর্ধ শতাধিক।
এদিকে ঘটনার পরই রিমা কমিউনিটি সেন্টারে ছুটে যান চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের কমিশনার ইকবাল বাহার।
সাংবাদিকদের তিনি বলেন, অতিরিক্ত মানুষের চাপে এ দুর্ঘটনা ঘটে। গেটটি ছোট হওয়ায় হুড়োহুড়ি করে অনেকেই এক সঙ্গে ভেতরে ঢুকছিলেন। এ সময় পড়ে গেলে পদদলিত হয়ে ৯জন মারা যান। পরে হাসপাতালে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১তে দাড়ায়।
তবে নিরাপত্তার কোনো কমতি ছিল না বলে জানান সিএমপি কমিশনার ইকবাল বাহার।
রিমা কমিউনিটি সেন্টারের পাশাপাশি নগরীর আরও ১৪টি কমিউনিটি সেন্টারে কুলখানি ও মেজবানের আয়োজন করা হয়।
এগুলো হচ্ছে- কিং অব চিটাগাং,স্কয়ার, কিশলয়, সুইস পার্ক, স্মরণিকা, এন মোহাম্মদ, কে বি কনভেনশন হল, ভিআইপি ব্যাংকুয়েট, গোল্ডেন টাচ, স্মরণিকা, সাগরিকা কমিউনিটি সেন্টার।
গত ১৪ ডিসেম্বর দিনগত রাত ৩টার দিকে বন্দরনগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন চট্টল বীর এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী।
১৯৯৪ সাল থেকে টানা তিনবার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মহিউদ্দিন চৌধুরী। জনপ্রিয় এই সাবেক মেয়রের বাড়ি চট্টগ্রামের ষোলশহরে।