গর্ভপাতের সময় কিশোরীর মৃত্যু, অাটক ২
শরীয়তপুরের গোসাইরহাটে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে গর্ভপাত করাতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বুধবার সন্ধায় উপজেলার কুচাইপট্টি গ্রামে এক কমিউনিটি হাসপাতালের স্বাস্থ্য পরিদর্শকের বাসায় গর্ভপাত করার সময় ওই কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এ ঘটনায় স্বাস্থ্য পরিদর্শক মাজেদা বেগম ও তার ভাই আমিরুল ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ।
সম্পর্কিত খবর
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গোসাইরহাট উপজেলার মহিষকান্দি গ্রামের ৫৫ বছর বয়সী নুর ইসলাম মাদবরের সঙ্গে একই এলাকার পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে উঠে। এক পর্যায়ে ওই স্কুলছাত্রী গর্ভবতী হয়ে পড়লে নূর ও তার স্ত্রী আয়েশা খাতুন পরিবারের সদস্যদের কিছু না জানিয়ে স্থানীয় কুচাইপট্টি বাজারের একটি কমিউনিটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত স্বাস্থ্য পরিদর্শক মাজেদা টাকার বিনিময়ে ওই স্কুল ছাত্রীর গর্ভপাত করাতে গেলে সে মারা যায়।
গোসাইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী পূর্বপশ্চিমকে বলেন, ওই স্কুলছাত্রীকে গর্ভপাত করাতে গেলে মারা যায়। পরে ধর্ষক নুর ইসলামের স্ত্রীর পরামর্শে মাজেদা ও তার ভাই আমিরুল ওই স্কুল ছাত্রীর লাশ কমিউনিটি হাসপাতালের পাশে গর্ত খুঁড়ে চাপা দেওয়ার জন্য চেষ্টা করে। এ সময় স্থানীয়রা টের পেয়ে থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বৃহস্পতিবার শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ওসি অারো জানায়, স্বাস্থ্য পরিদর্শক মাজেদা বেগম ও তার ভাই আমিরুল ইসলামকে আটক করলেও ধর্ষক নুর ইসলাম ও তার স্ত্রী আশয়া বেগম পালিয়ে গেছে। অাসামিদের অাটকের চেষ্টা চলছে ও মামলার প্রস্তুতি চলছে।