• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

একগম্বুজ বিশিষ্ট দেশের সর্ববৃহৎ মসজিদ

প্রকাশ:  ১৯ জানুয়ারি ২০১৮, ১৪:৪৪
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

প্রকৃতি কন্যা নামে খ্যাত সাড়ে বারোশো একরের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) ক্যাম্পাস যেমন সবুজ শ্যামলে ভরপুর তেমনি এখানে রয়েছে অনন্য স্থাপত্যের কিছু ভবন। ক্যাম্পাসে ঢুকলেই কৃষি অনুষদের পাশে চোখে পরে বৃহৎ মিনার বিশিষ্ট একটি স্থাপনা ।

বলছি বাকৃবি কেন্দ্রিয় মসজিদের কথা। মসজিদটি দেশের বৃহত্তর এক গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদ। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনন্য স্থাপত্যের মধ্যে এটি অন্যতম। মসজিদটির অসাধারণ নির্মাণশৈলী ক্যাম্পাসের সৌন্দর্যকে এক নতুন রুপ দিয়েছে।

সম্পর্কিত খবর

    প্রায় তিন যুগ আগে ১৯৮৩ সালের এপ্রিল মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে মসজিদের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবুল কালাম মুহাম্মদ আমিনুল হক। এরপর ১৯৯৫ সালের ২ জুন মসজিদটির উদ্বোধন করা হয়।

    চতুর্ভুজ আকৃতির এই মসজিদের মোট তিনটি অংশ রয়েছে। মূল ভবনটি মসজিদের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ জায়গা জুড়ে অবস্থিত। মূল ভবনে মোট ২৬ টি কাতারে নামায পরা যায়। মসজিদের পূর্ব পাশে রয়েছে একটি বারান্দা।

    বারান্দায় নামায পড়ার জন্য মোট ১৩ টি কাতার রয়েছে। মূল অংশ এবং বারান্দা মিলে ৩৯ টি কাতারে প্রায় ৪০০০ মানুষ একসাথে নামাজ আদায় করতে পারে। এর স্থাপত্য শৈলীর সব থেকে আকর্ষণীয় দিক হলো মূল কাঠামোর মধ্যবর্তী উপরের বিরাটকার গম্বুজ যা মোট ১২ টি পিলারের উপর অবস্থিত। গম্বুজের উপর রয়েছে একটি অর্ধ চাঁদ।

    মসজিদের আঙ্গিনাকে মূল ক্যাম্পাস থেকে পৃথক করার জন্য চারধারে রয়েছে দৃষ্টি আকর্ষণীয় দেওয়ালে ঘেরা তিনটি করিডোর । যা মসজিদের বারান্দার এক পাশ থেকে শুরু হয়ে অন্য পাশে গিয়ে শেষ হয়েছে।

    এসব করিডোরে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন বাগানবিলাস ফুলের সমোরাহ। যা মসজিদটিতে এনে দিয়েছে এক স্বর্গীয় সৌন্দর্য। মসজিদের বারান্দায় প্রবেশ করার জন্য পূর্ব পাশে মোট ২ টি, উত্তর এবং দক্ষিনে ২ টি সহ মোট ৪ টি দরজা রয়েছে। এরপর বারান্দা থেকে মসজিদটির মূল ভবনে প্রবেশ করতে মোট ৮ টি দরজা রয়েছে। এছাড়া মসজিদের পশ্চিম পাশে মুসল্লিদের ওজু করার জন্য রয়েছে একটি ওযুখানা। পূর্বপাশে রয়েছে একটি বিস্তৃত খোলা মাঠ।

    মসজিদটিতে দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামায ছাড়াও শুক্রবার জুম্মার নামায পড়ানো হয়। শুক্রবার যেন মসজিদে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের মিলনমেলায় পরিনত হয়। ওই দিন দুপুড় ১২ টা থেকেই যেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেদের হলগুলো থেকে দল বেধে শিক্ষার্থীরা নামায আদায় করতে আসে বৃহত্তর এই মসজিদটিতে। শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীতে মসজিদটি ভরে ওঠে কানায় কানায়।

    জুম্মার নামায ছাড়াও বৃহৎ পরিসরে মসজিদে ঈদের নামাযও আদায় করা হয়। ঈদের দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মচারী-কর্মকর্তা সহ আশেপাশের এলাকা থেকে মুসল্লিরা নামাজ আদায় করতে আসে। এসময় মুসল্লিদের আগমন যেন মিলনমেলায় রুপ নেয়।

    মসজিদটির সৌন্দর্য এবং নির্মল পরিবেশ মহান আল্লাহর সাথে একাগ্রতা বৃদ্ধি করে। এর অসাধারণ নির্মাণশৈলী দেখেই মন জুড়িয়ে যায়। সাড়ে বারোশো একরের ক্যাম্পাসে স্থাপনাটি যেন আপন মর্যাদায় মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে।তাইতো হাজারো ব্যস্ততা ভুলে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রশিক্ষক,কর্মকর্তা-কর্মচারিসহ অন্যান্য মুসলমানরা একই কাতারে এক আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করতে হাজির হয় অসাধারণ নির্মাণশৈলী এই মসজিদটিতে।

    সারাদেশ

    অনুসন্ধান করুন
    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close