ঝাড়ু দেয়ার কাজে শিশু শিক্ষার্থী

লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলায় ক্ষুদে কোমলমতি শিক্ষার্থীকে দিয়ে বিদ্যালয়ের বারান্দা ঝাড়ু দেওয়া হয়। উপজেলার পশ্চিম বিছনদই সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দেখা যায় এমন দৃশ্য।

ওই সব কোমল মতি শিশুরা বিদ্যালয়ে যায় শিক্ষা গ্রহনের জন্য। আর তাদেরকে দিয়ে এমন কাজ করানোটা কতটা যৌক্তিক তা নিয়ে স্থানীয়দের মনে নানা প্রশ্ন।

সরেজমিনে সেখানে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যায়ের মাঠে ও বারান্দায় শিশু শিক্ষার্থীরা ছোটাছুটি করছে। আর কেউ শহীদ মিনারে উঠে খেলছে। আর এদিকে দেখা যায় দুইজন কোমল মতি শিশু বিদ্যালয়ের বারান্দায় ঝাড়ু দিয়ে ময়লা পরিষ্কার করছে।

অন্যদিকে প্রধান শিক্ষকের অনুপস্থিতে অন্য শিক্ষিকারা কেউ নিজের শিশু সন্তানকে কোলে নিয়ে হাটছে। কেউ হাসি মুখে মোবাইল ফোনে কথা বলে ব্যস্ত সময় পার করছে। এতেই স্থানীয় বা যে কারো মনে প্রশ্ন জাগে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে? শুধু তাই নয় ওই সব শিশু শিক্ষার্থীরা যেখানে খেলছে তার কিছুটা পাশেই শুয়ে আছে কুকুর। যে কোন মুহূর্তে কামর দিতে পারে ওই শিশুদের। নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত শিক্ষিকরা, তাহলে বিদ্যালয়ে আসা এইসব শিশুদের কে দিবে নিরাপত্তা।

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠানো হয় পড়ালেখা শেখার জন্য। তাদের দিয়েতো ঝাড়ু দেয়ার জন্য না। তাদের দিয়ে ঝাড়ু দেয়াটা শিক্ষকরা ঠিক কাজ করেনি। তারা বিদ্যালয়ে কাজের জন্য লোক নিয়োগ দিবে। শিশু শিক্ষার্থীদের দিয়ে কাজ করাবে কেন।

এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক জানান, কোমলমতি শিশুদের দিয়ে এমন কাজ করানো মোটেও ঠিক নয়। আর বিদ্যালয় চলাকালীন কোন শিশুকে দিয়ে কাজ করানো হলে ওই শিশু কিছুটা হলেও অস্বস্তিবোধ করে থাকে। কারন অন্য শিক্ষার্থী ক্লাশ করবে, খেলবে আর সে ঝাড়ু দিবে এতে সে লজ্জাবোধ করবে।

এ বিষয়ে পশ্চিম বিছনদই সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজিজুল ইসলাম জানান, শিক্ষার্থীদের দিয়ে বিদ্যালয় ঝাড়ু দেওয়া উচিত নয়। আমি বই আনতে শিক্ষা অফিসে গিয়েছিলাম। তাই হয়তো এমনটা হয়েছে।

এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা(ভারপ্রাপ্ত) আবুল কালাম আজাদ জানান, এটা ঠিক নয়। আমি এ বিষয়ে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলবো।