• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

কুবি’র অফিসার্স এ্যাসোসিয়েশন নির্বাচনে ভোটারদের হুমকির অভিযোগ!

প্রকাশ:  ১৭ মার্চ ২০১৮, ১৯:১৩
কুবি প্রতিনিধি

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন্ন অফিসার্স এ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচনের ভোটার ও প্রার্থীদেরকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে পূর্বে নানা অভিযোগে অভিযুক্ত প্রভাবশালী এক প্রার্থীর বিরুদ্ধে। এছাড়াও ঐ প্রার্থীর বিরুদ্ধে পূর্বে শিক্ষক ও সাংবাদিক লাঞ্ছনার অভিযোগ রয়েছে। তবে প্রভাবশালী হওয়ায় সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আলী আশরাফ তার বিরুদ্ধে কোন ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নিয়ে তার অপকর্ম গুলোকে নানাভাবে প্রশ্রয় দিয়েছেন ।

জানা যায়, আগামী সোমবার অফিসার্স এ্যাসোসিয়েশনের ২য় কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভোটারদেরকে নানাভাবে হুমকিÑধামকি প্রদান করে আসছে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী সেকশন অফিসার জাকির হোসেন ওরফে প্রিন্সিপাল জাকিরের বিরুদ্ধে। নির্বাচনে জয় লাভ করার জন্য তিনি বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তিদের দিয়ে ভোটারদেরকে নিজ প্যানেলে ভোট প্রদানের জন্য নানামুখি চাপ এখনও অব্যহত রেখেছেন; বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার সাথে কথা বলে হুমকির বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়। সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী সেকশন অফিসার জাকির হোসাইনের বিরুদ্ধে পূর্বেও শিক্ষক ও সাংবাদিক লাঞ্ছনাসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।

সম্পর্কিত খবর

    জানা যায়, ২০১৪ সালের ২৩ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ে নবীনবরন অনুষ্ঠানের পর দুপুরের খাবার বিতরণকে কেন্দ্র করে সেকশন অফিসার মোঃ জাকির হোসেন এক শিক্ষকের সাথে চরম মাত্রায় অসদাচরণ করেন। জাকির হোসেন ঐ শিক্ষককে হুমকি-ধমকিও দেন বলে একাধিক সূত্রে জানা যায়।

    এ ঘটনার প্রতিবাদে তৎকালীন শিক্ষক সমিতি ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে মৌণ মিছিল করে সপ্তাহব্যাপী আন্দোলন করলেও সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আলী আশরাফ এ ঘটনায় কোন প্রদক্ষেপ না নিয়ে তখন অভিযুক্তের পক্ষ অবলম্বন করেছিলেন।

    এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে অনিয়মের সংবাদ পরিবেশন করায় ২০১৬ সালের ১৭ মে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির তৎকালীন সভাপতি এবং সদস্যদের লাঞ্ছিত করেন প্রভাবশালী এ সেকশন অফিসার জাকির। এঘটনার প্রতিবাদে ও অভিযুক্তের শাস্তির দাবিতে ১৯ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে স্মারকলিপি প্রদান করে সাংবাদিক সমিতি। তবে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করে প্রথম থেকেই কালক্ষেপন করে আসছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। প্রশাসনে নিরব ভূমিকার কারণে সাংবাদিক সমিতি এসময় মানববন্ধন, মুখে কালো কাপড় বেঁধে মৌন মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি করলেও প্রশাসন তখন লাঞ্ছনাকারীকেই সমর্থন করে যায়।

    এছাড়াও সম্প্রতি পদোন্নতি নীতিমালা উপেক্ষা করে নির্দিষ্ট সময়সীমার আগেই সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আলী আশরাফকে চাপ প্রয়োগ করে পদোন্নতীর বোর্ডে মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে এ কর্মকর্তা। তবে ৬৭তম সভা সিন্ডিকেট সভা তার পদোন্নতী নিয়ম বর্হিভূত হওয়ায় তার অনুমোদন দেয়নি বলে জানা যায়। পদোন্নতী না পাওয়ায় উপাচার্যের বাসভবনে একদিন অবস্থানও করেন এ কর্মকর্তা। উপাচার্যের বাসভবনে অবস্থানের ঘটনায় পুরো ক্যাম্পাসে সে সময় বেশ আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠে এবং তার ক্ষমতার উৎস কোথায় সে নিয়েও বেশ কৌতূহল জন্মায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে।

    এছাড়াও সরকারী কর্মকর্তা হয়েও কয়েকটি পলিটেকনিকে ইন্সিটিটিউটের মালিক এবং অধ্যক্ষ প্রভাবশালী এ কর্মকর্তা। বিভিন্ন সময়ে অফিসে নিয়মিত না আসাও তার অনিয়মের অংশ। বিভিন্ন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কর্তা ব্যক্তিদের সাথেও রয়েছে তার বিস্তর যোগাযোগ। এসব অভিযোগের বিষয়ে সেকসন অফিসার জাকির হোসেনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি, ‘এমন কোন ঘটনাই ঘটেনি’ বলেই ফোন কেটে দেন।

    ওএফ

    সারাদেশ

    অনুসন্ধান করুন
    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close