শায়েস্তাগঞ্জে চার শতাধিক সিএনজি মালিক ও চালক পরিবারে দুর্দিনে
হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার সুতাং, ভায়া লালচান্দ, অলিপুর ও উচাইল সড়কে চার দিন ধরে সিএনজি (অটোরিকশা) চলাচল বন্ধ হওয়ায় যাত্রীরা যেমন দুর্ভোগে পড়েছেন তেমনি চার শতাধিক মালিক ও চালক পরিবারে নেমে এসেছে দুর্দিন। সোমবার দুপুরে এ তথ্য জানিয়েছেন শায়েস্তাগঞ্জ সিএনজি মালিক-শ্রমিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক তাজ উদ্দিন ফয়সল। এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে উল্লেখিত সড়কে হঠাৎ সিএনজি (অটোরিকশা) চলাচল বন্ধ করে দেয় পুলিশ।
তাজ উদ্দীন ফয়সল জানান, এসব সিএনজির (অটোরিকশা) মাধ্যমে রেল স্টেশন থেকে সুতাং, অলিপুর, লালচান্দ ও উচাইল বাজার পর্যন্ত যাত্রী পরিবহন করা হয়ে থাকে। বিকল্প সড়ক না থাকায় মহাসড়কের কিছু অংশ দিয়ে চলাচল করছে সিএনজি। এদিকে সিএনজি (অটোরিকশা) চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ঋণের কিস্তি পরিশোধ নিয়েও দিশেহারা হয়ে পড়েছেন মালিক-চালকরা।
সম্পর্কিত খবর
সমিতির সিনিয়র সহসভাপতি সাইদুর রহমান রুবেল জানান, তিন দিন ধরে গাড়ি চলাচল না হওয়ায় চার শতাধিক চালকের আয়ের একমাত্র পথ বন্ধ হয়ে গেছে। উৎকণ্ঠায় রয়েছেন গাড়ি মালিকরা। সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, অধিকাংশ মালিকরা সিএনজি অটোরিকশাগুলো ঋণের কিস্তিতে কিনেছেন। গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কিস্তি পরিশোধ নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তারা।
সমিতির সিরিয়ালম্যান তাহির মিয়া ও বাবুল মিয়া বলেন, দৈনিক রোজগারের উৎসই গাড়ীর সিরিয়াল লেখা। তিন দিন যাবৎ সিএনজি চলাচল বন্ধ থাকায় আমাদের কাজটিও বন্ধ। তাই পরিবার পরিজন নিয়ে কষ্টে দিনাদিপাত করতে হচ্ছে। সিএনজি চালক বাবুল মিয়া বলেন, উল্লেখিত সড়কের বিকল্প সড়ক না থাকায় মহাসড়কের কিছু অংশ দিয়ে চলাচল করতে হয়। তিন দিন যাবৎ গাড়ী না চলায় পরিবারের লোকজন নিয়ে কষ্টে আছি।
ভোক্তভোগি যাত্রীরা জানান, সিএনজি না থাকায় যথা সময়ে কাজে পৌছা যায় না। বিশেষ করে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী পড়েছেন সীমাহীন দুর্ভোগে। অফিস-আদালতে যারা যাচ্ছে তাদের বিলম্বে পৌছাতে হচ্ছে। শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ১৫ মার্চ হাইওয়ে পুলিশের মহাপরিচালক আতিকুল ইসলাম শায়েস্তাগঞ্জে হাইওয়েতে ছিলেন। এসময় মহাসড়কে অবাদে সিএনজি চলাচল দেখে বেশ কয়েকজন চালককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। পরে তিনি বিষয়টি নিয়ে সরকারের সড়ক পরিবহণ ও সেতু বিভাগে কথা বলে সিএনজি চলাচল বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা দেন।