• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

বরিশাল জেলা মৎস্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ

প্রকাশ:  ২০ মার্চ ২০১৮, ১৩:৩৫
বরিশাল প্রতিনিধি

বরিশাল জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সাজদার রহমানের বিরুদ্ধে মৎস্য প্রকল্পের উদ্যোক্তার কাছে দুই লাখ টাকা ঘুষ দাবির অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার বানারীপাড়া উপজেলা বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও উজিরপুরের জল্লায় কৃষ্ণবালার বাড়ির পুকুর পুনঃখনন প্রকল্পের উদ্যোক্তা ইঞ্জিনিয়ার মাহবুব আলম জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. সাজদার রহমান’র বিরুদ্ধে তার কাছে দুই লাখ টাকা ঘুষ দাবির অভিযোগ এনে মৎস্য অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক ও বরিশাল দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বানারীপাড়া উপজেলা বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মাহবুব আলম পার্শ্ববর্তী উজিরপুর উপজেলার জল্লা ইউনিয়নে কৃষ্ণবালার বাড়ির পুকুর পুনঃখনন প্রকল্পের বিপরীতে ১৯ লাখ ৯৬ হাজার টাকা বরাদ্দ পান। রোববার তিনি জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. সাজদার রহমানের কাছে ওই প্রকল্পের বরাদ্দের প্রথম কিস্তির ৪ লাখ ৯৯ হাজার টাকার ছাড়পত্রের জন্য গেলে তিনি প্রকল্পের বরাদ্দ করাতে হলে তাকে দুই লাখ টাকা ঘুষ দিতে হবে বলে জানান।

সম্পর্কিত খবর

    ইঞ্জিনিয়ার মাহবুব আলম ঘুষ দিতে অস্বীকৃতি জানালে বরাদ্দ বাতিল করে অর্থ ফেরত পাঠানো হবে বলে তাকে হুমকি দেওয়া হয়।এসময় তার সঙ্গে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা অসৌজন্যমূলক আচরণও করেন। ফলে ইঞ্জিনিয়ার মাহবুব আলম মৎস্য অধিদপ্তরের মহা পরিচালক ও বরিশাল দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক)র কাছে জেলা মৎস্য কর্মকর্তার ঘুষ দাবি ও অসৌজন্যমূলক আচরণের প্রতিকার চেয়ে লিখিত অভিযোগ করেন।

    এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জানান, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. সাজদার রহমান চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত চলা অবৈধ কারেন্ট জালের বিরুদ্ধে কম্বিং অপারেশনের জন্য সরকারী বরাদ্দের ১০ লাখ টাকার মধ্যে ৬ লাাখ ১০ হাজার টাকা তিনি একা আত্মসাত করেন। মাত্র ৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা ১০টি উপজেলায় মৎস্য অফিসগুলোতে বরাদ্দ দেওয়া হয়।

    গত বুধবার কম্বিং অপারেশনের বরাদ্দের টাকার বিষয়ে জানতে চাওয়া নিয়ে নিয়ে জেলা মৎস্য অফিসের প্রধান করনিক মেজবা উদ্দিনকে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সাজদার রহমান তার অফিস কক্ষে পেপার ওয়েট মেরে আহত করেন। এসময় অফিসের কর্মচারীরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে অফিস কক্ষে তালাবদ্ধ করে রাখেন। পরে উপ-পরিচালক ওয়াহিদুজ্জামান এসে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সাজদার রহমানকে তালবদ্ধ অবস্থা থেকে উদ্ধার করে তাকে দিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করে কর্মচারীদের ক্ষোভ সামাল দেন।

    এছাড়াও জেলা মৎস্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে জেলা মৎস্য অফিসের অপর স্টাফ ইউনুস আলীকে শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ রয়েছে। গত বছরের ২০ নভেম্বর যোগদান করা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. সাজদার রহমানের বিরুদ্ধে মাত্র চার মাসে স্বেচ্ছাচারিতা, দুর্ব্যবহার, অনিয়ম ও দুনীতির অভিযোগ সর্বমহলে ছড়িয়ে পড়েছে।

    এ প্রসঙ্গে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. সাজদার রহমান ঘুষ দাবির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ওই প্রকল্প নীতিমালা বর্হিভূত ও ওয়ারিশ সম্পত্তি ওয়াকফ হওয়ায় বরাদ্দের ছাড়পত্র দেওয়া হচ্ছে না।

    সারাদেশ

    অনুসন্ধান করুন
    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close