পীরগঞ্জে বিস্ফোরক লাইসেন্স ছাড়াই চলছে এলপি গ্যাস ব্যবসা
বিস্ফোরক অধিদপ্তরের লাইসেন্স ছাড়াই ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার রাস্তাঘাট বাজার এলাকা ও সড়কের মোড়ে বিক্রি হচ্ছে পেট্রোলিয়াম এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার। নীতিমালা লংঘন করে শুধু ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে উপজেলা অর্ধশতাধিক দোকানে বিক্রি করা হচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডার। ফলে যে কোন সময় বিস্ফোরন ও প্রাণ হানীর আশঙ্কা করা হচ্ছে। এলপি গ্যাস প্রস্তুত কারক কোম্পানী গুলো ডিলাররা বিস্ফোরক অধিদপ্তরের সনদ নিলেও খুচরা ব্যবসায়ীরা সিলিন্ডার মজুদ আইন অনুস্মরণ করছেনা।
ব্যবসা পরিচালনার সাধারণ ট্রেড লাইসেন্স সংগ্রহ করলেও ১০টির বেশি সিলিন্ডারে আবশ্যকীয় সনদ তাদের নেই। অনুসন্ধানে দেখা যায় মুদি দোকান, হার্ডওয়্যার দোকান, ক্রোকারিজ, কসমেটিক্স ও ঔষুধের দোকান মালিকেরা পর্যন্ত খোলামেলা অবস্থায় গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করে আসছেন।
সম্পর্কিত খবর
এছাড়া ঐসব দোকানে ফায়ার সার্ভিসের অগ্নি নির্বাপক গ্যাস সিলিন্ডার রাখার নিয়ম থাকলেও অধিকাংশ দোকানে মালিকরা তা রাখছেন না। আবার কয়েকটি দোকানে এ গ্যাস সিলিন্ডার থাকলেও তা বেশিরভাগই মেয়াদ উত্তীর্ণ। অথচ নিয়ম অনুযায়ী এলপি গ্যাস ব্যবহার, বিপণন ও বাজার জাত করতে হলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা ব্যবসায়ীকে বিস্ফোরক অধিদপ্তরের লাইসেন্স ও অগ্নি নির্বাপক গ্যাস সিলিন্ডার বাধ্যতা মূলক সংরক্ষণ করার কথা। কিন্তু উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারের প্রায় ব্যবসায়ীরা এলপি গ্যাস বিক্রির কোন বৈধ লাইসেন্স নেই।
আইনের তোয়াক্কা না করে ব্যবসায়ীরা দোকানে ও গুদামে গ্যাস সিলিন্ডার মজুদ রেখে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়া ব্যবসায়ীরা দোকানের সামনের ফুটপাত, জনাকীর্ণ এলাকায় যত্রতত্র গ্যাস সিলিন্ডার ছড়িয়ে ছিটিয়ে রেখে বিক্রি করছেন।
পীরগঞ্জ উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের আইয়ুব আলী জানান, এভাবে যে কোন সময় রাস্তায় সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে মানুষ মারা যেতে পারে।
এ ব্যাপারে পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ ডাব্লিউ এম রায়হান শাহ্ বলেন, অভিযান চালানো হবে যাদের কাগজ পত্র নেই তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ওএফ