প্রচন্ড গরমে দুর্বিষহ জীবনযাত্রা
হবিগঞ্জে গত দুইদিনের প্রচন্ড গরমে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে সাধারণ মানুষ। এতে শিশু ও বৃদ্ধরা গরমে সবচেয়ে বেশি কাবু হয়ে পড়ছেন। তীব্র তাপদাহের কারণে দিনের বেলায় লোকজনের চলাচল অন্য সময়ের চেয়ে অনেকটাই কম।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুলাই) দুপুরে জেলা শহরে লোকজনের উপস্থিত ছিল অন্যান্য দিনের চেয়ে অনেক কম। তবে জরুরী কাজ ছাড়া লোকজন বাসা বাড়ি থেকে বের হতে দেখা যায়নি। প্রচন্ড গরমে ফলে শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে বিভিন্ন রোগে।
সম্পর্কিত খবর
পথচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গরমে ঘরে-বাইরে কোথাও স্বত্বি নেই। অতিষ্ট গরমে জন-জীবন বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে। শ্রমজীবী মানুষ বাইরে বের হলেই অতিরিক্ত ঘামে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। ক্লান্তি দূর করতে কেউ পান করছেন ডাবের পানি, কেউবা খাচ্ছেন শসা, লেবুর শরবত। তাই প্রচন্ড গরমে, আনারস, ঠান্ডা পানি আর ডাবের বিক্রি বেড়ে গেছে। লাচ্ছি জুস আর কোমল পানীয়ের ব্যবসাও বেশ জমজমাট। শহরের ফুটপাতে খোলা জায়গায় ঠান্ডা পানি, আনারস, ডাব বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। প্রচন্ড গরমের ফলে দিনমজুর মানুষকে পোহাতে হচ্ছে চরম দূর্ভোগ।
রিকশা চালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, সকাল থেকে প্রচন্ড গরম পড়েছে। ফলে যাত্রীর সংখ্যা অন্যান্য দিনের চেয়ে অনেক কম।
দিনমুজুর আলাই মিয়া বলেন, কাজের সন্ধানে বাড়ি থেকে বের হই। কিন্তু যে গরম পড়ছে তাতে কাজ করার কোনো ভাবে সম্ভব নয়।
ডাক্তার মুখলেছুর রহমান উজ্জল বলেন, সুস্থ থাকতে হলে রাস্তার ধারে ফুটপাতে খোলা জায়গায় বিক্রি করা শসা, আনারস, লেবুর শরবতসহ এসব খাবার এড়িয়ে চলার পরার্মশ দেন।
গরমে বাইরের খাবার খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। গরমে সবাইকে প্রচুর পানি পানের পরামর্শ দেন । ঘরের পরিবেশ যতটা সম্ভব ঠান্ডা রাখা গেলে ডায়রিয়া ও শ্বাসজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কম থাকবে বলে জানান এই চিকিৎসক।
ওএফ