• মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

রাবিতে কথা কাটাকাটি নিয়ে যুবলীগ কর্মীকে ছাত্রলীগের মারধর

প্রকাশ:  ২৩ জুলাই ২০১৮, ২০:১৯ | আপডেট : ২৩ জুলাই ২০১৮, ২০:২২
রাবি প্রতিনিধি

উত্যক্তের অভিযোগে স্থানীয় এক যুবলীগ কর্মীকে মারধর করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। সোমবার (২৩ জুলাই) বিকাল ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের টুকিটাকি চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।

মারধরের শিকার যুবলীগকর্মী হলে আলমগীর হোসেন। সে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ধরমপুর এলাকার বাসিন্দা। অন্যদিকে মারধরকারীরা হলেন, ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাংগঠনিক সম্পাদক ইমতিয়াজ আহমেদ।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বিকেল ৪টার দিকে টুকিটাকি চত্বরে রাবি ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক ইমতিয়াজসহ কয়েকজনের সঙ্গে স্থানীয় যুবক আলমগীরের কথা কাটাকটি চলছিল। কথা কাটাটির এক পর্যায়ে সাদ্দাম আলমগীরকে চড় মারে। এরপর ইমতিয়াজও তাকে চড়-থাপ্পড় মারে। পরে রাবি ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফ করিম রুপমসহ কয়েকজন তাদের ডেকে এনে মীমাংসার চেষ্টা করে। আলমগীর মহানগর যুবলীগের সহ-সম্পাদক মাহবুব আলমের সঙ্গে টুকিটাকিতে এসেছিলেন।

এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী আলমগীরের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে মহানগর যুবলীগের সহ-সম্পাদক মাহবুব আলম বলেন, ‘আলমগীর আমার সঙ্গে ক্যাম্পাসে গিয়েছিল। আমরা টুকিটাকিতে বসে খাওয়া-দাওয়া করছিলাম।

এসময় সাদ্দাম কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে নিয়ে এসে আমাকে বলে- ভাই আপনার ছোট ভায়ের (আলমগীর) ব্যবহার খারাপ, উগ্র। আমি বললাম- আলগমীর তো সারাক্ষণ আমার সাথে ছিল। কখন খারাপ ব্যবহার করলো। একথা বলতে না বলতেই তারা আলমগীরকে চড়-থাপ্পড় দেয়।’ হঠাৎ এমন মারধরের কারণ জানতে চাইলে মাহবুব আলম বলেন, ‘হয়তো পূর্ব শত্রুতা থাকতে পারে অথবা প্রভাব বিস্তার করতে এমনটি করে থাকবে তারা।’

জানতে চাইলে ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সাদ্দাম হোসেন মারধরে বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন ‘চড়-থাপ্পড়ের কোনও ঘটনা ঘটেনি। আলমগীর একজন ছাত্রীকে উত্যক্ত করেছিল। তাই তাকে নিষেধ করা হয়েছে।’

ওএফ

রাবি,ছাত্রলীগ,যুবলীগ

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close