গোপন বৈঠকের অভিযোগে জামায়াতের ৬ নেতা রিমান্ডে, ২ জন কারাগারে
নাশকতার পরিকল্পনায় গোপন বৈঠককালে আটক আট জামায়াত নেতার মধ্যে ছয়জনকে এক দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। অন্য দুইজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়।
শনিবার বিকেলে ঝালকাঠির জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের বিচার মো. সেলিম রেজা এ আদেশ দেন।
সম্পর্কিত খবর
শুক্রবার সকালে শহরের পূর্বচাঁদকাঠি এলাকার পাঁচতলা ভবনের একটি কক্ষ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এদিকে আটক জামায়াত নেতাদের নামে শুক্রবার রাতে ঝালকাঠি থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়। ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) হেলাল উদ্দিন বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঝালকাঠি থানার ওসি (অপারেশন) আবুল কালাম আজাদ জানান, পূর্বচাঁদকাঠির মরিয়ম ম্যানশনের একটি ফ্লাটে ভাড়া থাকেন জেলা জামায়াতের সাংগঠনিক সেক্রেটারী অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন। তাঁর বাসায় সকালে বৈঠকে বসেন জেলার শীর্ষ জামায়াত নেতারা। সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এবং নাশকতার পরিকল্পনায় এ বৈঠক চলছিল।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঝালকাঠি গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মো. কামরুজ্জামান মিয়ার নেতৃত্বে একটি দল অভিযান চালিয়ে বৈঠকে উপস্থিত আটজনকে আটক করে। আটককৃতরা হলেন জেলা জামায়াতের সাংগঠনিক সেক্রেটারী অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন, সাবেক সেক্রেটারী বিএম আমিনুল ইসলাম, সদর থানা জামায়াতের সেক্রেটারী মাওলানা মনিরুজ্জামান, কেওড়া ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি আবদুল মালেক সিকদার, রাজাপুর উপজেলা জামায়াতের সদস্য শাহজামাল হাওলাদার, বরিশাল জামায়াতের সদস্য কাওছার আহম্মেদ, ঝালকাঠি জেলা জামায়াতের রোকন জাকির হোসেন ও হাবিবুর রহমান।
আটককৃতদের আদালতে হাজির করে দুই দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। আদালত অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন ও বিএম আমিনুল ইসলামকে কারাগারে পাঠিয়ে অন্য ছয়জনকে এক দিনের রিমান্ড দেন।
ঝালকাঠি ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মো. কামরুজ্জামান মিয়া বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা গোপন বৈঠকের কথা স্বীকার করেন। তাদের কাছ থেকে কয়েকটি বই ও চাঁদা আদায়ের রশিদ পাওয়া গেছে।