উজানের ঢলে তিস্তায় পানি বৃদ্ধি, ভেঙ্গে গেছে বালির বাঁধ ও এ্যাপ্রোচ সড়ক

উজানের ঢলের কারণে নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি দফায় দফায় বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার হতে ৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর ফলে আতংকিত হয়ে পড়েছে তিস্তার পাড়ের নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দারা।

অপরদিকে, তিস্তা নদীর এই ভয়াবহ অবস্থায় জেলার ডিমলা উপজেলার টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের চড়খড়িবাড়ি এলাকায় সেচ্ছাশ্রমে নির্মিত বালির বাঁধটি হুমকির মুখে পড়েছে। ইতোমধ্যে বাঁধটির ৪শ’ মিটার নদী গর্ভে বিলিন হয়েছে।

এছাড়া একই উপজেলার খগাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের দোহলপাড়া নামকস্থানে তিস্তা নদীর ডানতীরের চার নম্বর স্পারবাঁধের সামনের এ্যাপ্রোচ সড়কের ১০মিটার নদী গর্ভে বিলিন হয়েছে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, ওই স্বেচ্ছাশ্রম বাঁধটি আমরা শতশত মানুষ শ্রম দিয়ে তৈরি করি। গত বছরের বন্যায় এটি ঝুঁকির মধ্যে পড়েছিল। ফলে এবার বন্যার আগেই সংস্কারের জন্য সরকারি ভাবে ২০ মেট্রিক টন কাবিখা প্রকল্পের চাল বরাদ্দ দেয়া হয়। ওই চাল বিক্রি করে আট লাখ টাকা হয়। কিন্তু আ.লীগের এক প্রভাবশালী নেতা নামমাত্র কাজ করায় বাঁধটি আজ পানির স্রোতে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ছে। স্বেচ্ছাশ্রমের এই বালির বাঁধ এই বাঁধ সর্ম্পন্নরূপে বিধ্বস্ত হলে চরখড়িবাড়ি মৌজাটির দুই হাজার পরিবারের বসতভিটা তিস্তা নদীতে তলিয়ে যাবার আশঙ্কা রয়েছে।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল আলম চৌধুরী জানান, উজানের ঢল কমে আসায় পরিস্থিতি উন্নতি ঘটছে। তবে সর্তকতায় তিস্তা ব্যারেজের ৪৪ টি গেট খুলে রাখা হয়েছে। তিস্তার হঠাৎ উজানের ঢলের কারনে জেলার ডিমলা উপজেলা উপজেলার খালিশাচাপানী ইউনিয়নের ছোটখাতা, বানপাড়া ও বাঁইশপুকুর চর, ছাতুনামা ভেন্ডাবাড়ি ফরেস্টের চর এলাকায় ঘরবাড়ি তলিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

পূর্বছাতনাই ইউনিয়নের ঝাড়সিংহের চরের বসত ভিটায় বন্যার পানি পবেশ করেছে। বন্যা কবলিত মানুষজন গবাদিপশু ও আসবাবপত্র সহ তিস্তা নদীর ডান তীর বাঁধ ও উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। জেলার জলঢাকা উপজেলার ডাইয়াবাড়ি, গোলমুন্ডা, শৈলমারী, কৈমারী ইউনিয়নের চরবেষ্টিত গ্রামগুলোতে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে বলে জানা গেছে।

ওএফ