• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

পায়রা নদীর ভাঙনে ঝুঁকিতে ৯ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

প্রকাশ:  ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১০:৩৪ | আপডেট : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১০:৪০
পটুয়াখালী প্রতিনিধি

পায়রা নদীর অব্যাহত ভাঙনে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার ৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। গত দুই বছরে পায়রা নদীর তীর থেকে আরও পাঁচটি সরকারি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এভাবে ভাঙনের তীব্রতা বাড়তে থাকলে যে কোন সময় প্রতিষ্ঠানগুলো নদীতে বিলীন হয়ে যেতে পারে।

পায়রা নদীর ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে চরখালী, কালিকাপুর ও পিঁপড়াখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চরখালী সমব্যয় মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সালেহা খাতুন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, রামপুর সিদ্দিকিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসাসহ ৯ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো যে কোন সময় পায়রার ভাঙনে বিলীন হয়ে যেতে পারে। এরই মধ্যে মেন্দিয়াবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সুন্দ্রা কালিকাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পূর্ব রামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পিঁপড়াখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন ভেঙ্গে নিলামে বিক্রি করা হয়েছে।

সম্প্রতি দেউলি সুবিদখালী ইউনিয়নের মেন্দিয়াবাদ, মাধবখালী ইউনিয়নের রামপুর ও মির্জাগঞ্জ ইউনিয়নের সুন্দ্রা গ্রামের পায়রা নদীর ওয়াপদা বেড়িবাঁধের একাধিক স্থানে ভাঙনের ফলে জোয়ারে পানিতে প্লাবিত হয়েছিল প্রায় বিশটি গ্রাম। পায়রা নদীর অব্যাহত ভাঙ্গনে ইতিমধ্যে উপজেলার গোলখালী, চরখালী, রানীপুর, হাজীখালী, কাকড়াবুনিয়া বাজার মেন্দিয়াবাদ, ভয়াং, মনোহারখালী, কলাগাছিয়া, ভিকাখালী বাজারসহ বিভিন্ন এলাকার বেশির ভাগ গ্রামের ঘরবাড়ী ও ফসলী জমি বিলীন হয়ে গেছে। এতে এসব এলাকায় বেড়ে যাচ্ছে ছিন্নমুল মানুষের সংখ্যা। বহু পরিবার ভিটামাটি হারিয়ে হয়েছে সর্বশ্বান্ত।

এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কাজী সাইফুদ্দিন ওয়ালিদ বলেন, পায়রার ভাঙনের কারণে রামপুর মাদ্রাসাটি তিনবার স্থানান্তর করা হয়েছে। নদী তীরবর্তী অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো ঝুঁকির মধ্যে আছে। ভাঙ্গন প্রতিরোধে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা উওম কুমার কুন্ড বলেন, ভাঙনের তীব্রতার কারণে দুটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় নিলামে বিক্রি করা হয়েছে। পিঁপড়াখালীতে গতবারে যে স্থানে বিদ্যালয় নির্মাণ করা হয়েছিল সে স্থানটিও এবার পায়রা নদীতে ভেঙ্গে যাচ্ছে।

এ বিষয় মির্জাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, পায়রা নদী র্তীরবর্তী এ উপজেলার ভয়াং, কাকড়াবুনিয়া, দেউলী সুবিদখালী ও মির্জাগঞ্জ ইউনিয়নের অনেক গ্রাম নদী ভাঙন কবলিত। ভাঙ্গন প্রতিরোধের ব্যাপারে পানি উন্নায়ন বোর্ডের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। ভাঙ্গন কবলিত প্রতিষ্ঠানগুলো রক্ষার ব্যাপারে বিদ্যালয় কমিটির সাথে আলাপ করে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেয়া হবে।

/পি.এস

পটুয়াখালী,প্রতিষ্ঠান,ভাঙন,নদী

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close