রাণীনগরে আমন ধানে পাতা মোড়া রোগের আক্রমণ
নওগাঁর রাণীনগরে আমন ধানে পাতা মোড়া (বিএলবি) রোগে শতশত বিঘা জমির ধান মরে যাচ্ছে। কৃষি বিভাগের পরামর্শেও ধানকে রক্ষা করা যাচ্ছে না এই পাতা মরা রোগ থেকে। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেতে উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের পরামর্শ ও নির্দেশনা চেয়েছেন কৃষকরা।
জানা গেছে, চলতি মৌসুমে রাণীনগর উপজেলায় ১৫ হাজার ৪শ’ ৫০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করা হয়েছে। ধানের মধ্যে রয়েছে বিনা সেভেন, বিআর-৪৯, বিআর-৫১, বিআর-৫২ ও আতবসহ বিভিন্ন প্রজাতের ধান। দিন পনেরো আগে হঠাৎ করে রাণীনগর, পারইল, কালীগ্রাম, বড়গাছা ও একডালা ইউনিয়নে আমন ধান গাছের পাতা হলুদ হওয়া অর্থাৎ পাতা মোড়া (বিএলবি) রোগ দেখা দেয়। পাতা হলুদ হওয়া দেখা দেয়ার ৫ দিন থেকে ৮ দিনের মধ্যে জমির সমস্ত ধান মরে যাচ্ছে। প্রতিদিনই নতুন নতুন জমি এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। আক্রান্ত ধানগুলোর মধ্যে স্বর্ণা, বিআর-৪৯ এবং কাটারি ভোগ জাতের। কৃষকরা কৃষি বিভাগ ও স্থানীয় কীটনাশক বিক্রেতাদের থেকে পরামর্শ নিয়ে রক্ষা করতে পারছেন ধানের জমি।
সম্পর্কিত খবর
উপজেলার কৃষকদের আয়ের উৎস্যই ধান থেকে। ধানের টাকা দিয়েই সংসারের সমস্ত খরচ করে থাকেন। সেই ধান পাতা মোড়া রোগ দেখা দেয়ায় কৃষকরা তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে দু:শ্চিন্তায় রয়েছেন। রাণীনগরে আমন ধানের পাতা হলুদবর্ণ হয়ে ধান মরে যাওয়ায় ইত্যেমধ্যে শতশত কৃষক আবারও আক্রান্ত জমিতে নতুন করে ধান লাগিয়েছেন। এতে তাদের বাড়তি খরচ গুণতে হচ্ছে। রাণীনগর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের মধ্যে ৫টি ইউনিয়নে আমন ধান গাছের পাতা হলুদ হয়ে মারা যাওয়ায় কোন ভাবেই ধান রক্ষা করতে পারছেন না কৃষকরা।
সিংগারপাড়া গ্রামের কৃষক মো: দুলাল হোসেন জানান, আমি ৭ বিঘা জমিতে আমন ধান লাগিয়েছি। আমার আড়াই বিঘা জমির ধানে পাতা মোড়া রোগে ধানের পাতা হলুদ হয়ে মরে গেছে। কৃষি বিভাগ ও স্থানীয় কীটনাশক বিক্রেতাদের পরামর্শ নিয়ে রক্ষা করতে পারছি না জমির ধানগুলো। নতুন করে আবার জমিতে ধান লাগাতে হচ্ছে। এতে আমাদের বাড়তি খরচ গুণতে হচ্ছে। আমার মত আরো কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
রাণীনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: শহীদুল ইসলাম বলেন, উপজেলায় রোপা আমন ধানে কিছু এলাকার জমিতে ধানের পাতা হলুদ হয়ে গিয়েছিল। কৃষি বিভাগের পরামর্শে আক্রান্ত ধান গাছগুলো আবারও স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছে। আক্রান্ত ধান গাছগুলো স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আনতে কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের সার্বক্ষণিক পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
/পি.এস