ছাত্রদল নেতার লাথিতে গৃহবধূর গর্ভপাত!
গর্ভবতীকে লাথি মেরে গর্ভের সন্তান নষ্ট করার অভিযোগে মামলা হয়েছে বগুড়া শহর ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক রবিউল হাসান দারুন সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে। ঋণের সুদের টাকার দাবিতে গৃহবধুকে মারপিট করে লাথি মেরে গর্ভের ৩ মাসের সন্তান নষ্ট করার অভিযোগে বগুড়া সদর থানায় মামলা হয়েছে। শহরের চেলোপাড়া এলাকার গৃহবধু শাপলার শাশুড়ি সুলতানা বেগম মামলাটি দায়ের করেছেন।
মামলা সুত্রে জানা গেছে, শহরের চেলোপাড়া এলাকার শাফি আহম্মেদ অগ্রগতি বহুমুখী সমিতি থেকে ১৫ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে আসল টাকা ও সুদসহ ২০ হাজার টাকা পরিশোধ করেছে।
সম্পর্কিত খবর
পরে সমিতির লোকজন আরো ৩০ হাজার টাকা দাবি করে। ওই টাকা না দেয়ায় অগ্রগতি বহুমুখী সমিতি লোকজন তাদের বাড়ীতে এসে শাফি আহম্মেদ এর অনুপস্থিতিতে আসবাবপত্র বের করে নিতে গেলে গর্ভবতী গৃহবধু শাপলা বেগম বাধা দেয়। এসময় গৃহবধুকে জোরপূর্বক রবিউলের বাড়ীতে নিয়ে যায়। সেখানে গৃহবধুকে কিল ঘুষি ও লাথি মেরে মাটিতে ফেলে দেয়। রবিউল হাসান দারুন গৃহবধুর পেটে লাথি মারে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। লাথির আঘাতে মহিলার গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়ে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। গুরুতর আহত শাপলা শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গাইনী ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছে।
এঘটনায় বগুড়া সদর থানায় রবিউল হাসান দারুন ও তার স্ত্রীসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বগুড়া সদর থানার ওসি (তদন্ত) কামরুজ্জামান বলেন, এ ব্যাপারে ওই গৃহবধুর শাশুড়ি বাদী হয়ে রবিউল হাসান দারুনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।
মামালার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা নারুলী ফাঁড়ির এস আই আব্দুল হাই বলেন, আসামি দারুনসহ অন্যান্যরা গা ঢাকা দিয়েছে। তাদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
/পি.এস